বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকিয়ে ধর্ষণে ফাঁসির শাস্তি নিয়ে আইন পাশ করাব: মমতা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মেয়ো রোডে ছাত্র পরিষদের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “নির্যাতিতদের উৎসর্গ করছি আজকের দিনটা। দেশ জুড়ে নির্যাতিতা এবং তাঁদের পরিবারকে উৎসর্গ করছি। যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু তার পরে কী অ্যাকশন যাতে দেরি না হয়, কোনও ভুল ত্রুটি না হয় সেটাই দেখার। আমরা চেয়েছিলাম সাত দিনের মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা করে দিতাম।” তিনি আরও বলেন, “আমি আইনজীবীদের বলব কোর্টে বিজেপিকে ছেড়ে দেবেন না। মানুষ যাতে কোর্টে গিয়ে বিচার পায়, সেটাই দেখবেন।”
মঙ্গলবারের ‘নবান্ন অভিযানে’ পুলিশ সংযত থেকেছে বলে জানিয়ে, মমতা বলেন, “আমি কালকের জন্য পুলিশকে স্যালুট জানাই। সংযত থেকেছে। নিজের রক্ত দিয়েছে। কিন্তু বিজেপির চক্রান্তের ফাঁদে পা দেয়নি।”
বনধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কীসের বনধ। যদি বনধ করতে হয় তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বনধ করো। যিনি আজ পর্যন্ত শুধু এজেন্সি লাগিয়ে মাুষের উপর অত্যাচার করা ছাড়া কিছুই করেননি। আজকে আমাদের ছেলেমেয়েরা যাঁরা আসছিল, তাঁদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বনধ ডেকে ট্রেন আটকে দেওয়া হয়েছে। আজকে জেনেশুনে বনধ ডেকেছে। ওদের বডি চাই। আমরা বিচার চাই, দোষী ব্যক্তির শাস্তি চাই। ফাঁসি চাই।” তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “ওরা ডেডবডি চায়। আমরা বিচার চাই।”
ছাত্র ভোটের পক্ষে সওয়াল করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “ছাত্রদের নির্বাচন এবার হওয়া উচিত। এখন সেমস্টার সিস্টেম। ব্রাত্য বসুকে বলব আসতে আসতে সেই অনুযায়ী সিস্টেম তৈরি করে নিতে। এইসব একটু শান্ত হোক, মিটে যাক। তার পর পুজোর হয়ে গেলে আসতে আসতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনটা করিয়ে দেব।”
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন, “এবার দয়া কারে কাজে ফিরুন আপনারা।” মমতা বলেন, “আজও জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ মিছিল রয়েছে। আমি চাই ওই মিছিল সফল হোক।”
ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইনের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি, বলেন; “ধর্ষণের মামলায় দোষীর ফাঁসির বিল আনব বিধানসভায়। তাতে রাজ্যপালকে সই করতেই হবে। না হলে রাজভবন ঘেরাও করবে বাংলার মহিলারা। টানা ধরনা চলবে। সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর এতদিন পেরিয়ে গেল। এখনও কিছুই হল না কেন? আমি পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই সিবিআইকে তদন্তভার দিয়ে কেসটা জলে ফেলে দেওয়া হল।”