সাবধান! কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে অনলাইনে পুজো দেওয়ার ভুয়ো চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তারাপীঠে মেগা ইভেন্ট কৌশিকী অমাবস্যা। এই উৎসব মানেই লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম। বিশেষ এই তিথিতে পুণ্যলাভের আশায় ফিবছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় জমে। প্রশাসনের দাবি, এবারও তার অন্যথা হবে না। ইতিমধ্যে ভিড়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে গোটা তারাপীঠকে। এই সুযোগে উপার্জনের আশায় তারাপীঠে পুজো বুকিংয়ের জন্য দেবী তারার আরতির ভিডিও সহ প্রচারে ফেসবুক ওয়াল ভরে উঠছে। কেউ আবার দেবীর নামে ওয়েবসাইট, অ্যাপ বানিয়ে বিভিন্ন মূল্যের পুজো দিতে এখনই বুক করার আবেদন জানাচ্ছে। অ্যাপে ইংরেজিতে লেখা তারাপীঠ মন্দির, বুক পুজো বলে অপশন দেওয়া রয়েছে। সেখানে ক্লিক করলেই বিভিন্ন মূল্যের পুজো দেওয়ার তালিকা খুলে যাচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘ লকডাউন ও তারপর আনলকের সময় সাধারণ মানুষের গতিবিধি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত ছিল। সেই কারণে বিভিন্ন প্রয়োজনে অনলাইন সংস্থার উপর নির্ভর করতে হয়েছে। সেই সুযোগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাবেচায় প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। বাদ যাচ্ছেন না দেবদেবীও। তখন থেকেই রাজ্যের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র তারাপীঠেও প্রতারকদের জাল বিস্তৃত হয়েছে। সারাবছর চুপচাপ থাকলেও বিভিন্ন তিথিতে সক্রিয় হয়ে উঠছে তারা। ধর্মবিশ্বাসী মানুষকে ফাঁদে ফেলতে তারা মায়ের বিভিন্ন ছবি, আরতির ভিডিও সহ মন্দিরের বিভিন্ন মুহূর্ত আপলোড করা হয়েছে। অথচ এগুলি কোনওটিই মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত সাইট নয়।
ধর্মবিশ্বাসী মানুষজন পুজো দেওয়ার জন্য হাজার হাজার টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। এনিয়ে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সিউড়ির সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল। মাঝে প্রতারণা চক্রের বাড়বাড়ন্ত কিছুদিনের জন্য কমলেও ফের কৌশিকী তিথির আগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিকে অসাধু চক্রের খপ্পরে না পড়ার বার্তা দিয়েছে মন্দির কমিটি। তাঁদের বক্তব্য, এরকম অনলাইনে পুজো দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই।