টাইব্রেকারে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগানকে হারিয়ে ডুরান্ড জয় নর্থইস্ট ইউনাইটেডের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রথমার্ধে দু’গোলে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে এবারের ডুরান্ড জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হল মোহনবাগানের। নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ থাকার পর টাইব্রেকারে জিতল নর্থইস্ট ইউনাইটেড। খেলার ফলাফল নর্থ ইস্টের পক্ষে ৪-৩।
শনিবার ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে যুবভারতীতে খেলতে নামে মোহনবাগান। শেষ পর্যন্ত নর্থইস্ট ইউনাইটেড টাইব্রেকারে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে নিজেদের ক্লাবের জন্য প্রথম ট্রফি জিতল।
এদিন খেলা যত এগোত থাকে তত মোহনবাগানের প্রাধান্য বাড়তে থাকে। ১০ মিনিটেই প্রথম গোল পেয়ে যায় তারা। ডান দিক থেকে সাহাল আব্দুল সামাদের উদ্দেশে বল ভাসিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট। সাহাল সেই বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলের দিকে ঘুরেও গিয়েছিলেন। এমন সময় তাঁকে জার্সি ধরে টেনে ফেলে দেন আশির আখতার। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিতে দেরি করেননি। পেনাল্টি থেকে নর্থইস্ট গোলকিপার গুরমিতকে উল্টো দিকে ফেলে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন কামিংস।
প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগান। সাহাল গোল করলেও কৃতিত্ব পুরোপুরি প্রাপ্য লিস্টন কোলাসোর। নর্থইস্টের একাধিক ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে বাঁ প্রান্ত ধরে দৌড়ে নর্থইস্ট বক্সে ঢুকে পড়েন। সেখান থেকে মাপা পাস পৌঁছয় সাহালের কাছে। চলতি বলে হালকা শটে বল জালে জড়িয়ে দেন কেরলের ফুটবলার।
দ্বিতীয়ার্ধে সাহালকে তুলে নিয়ে পেত্রাতোসকে নামিয়ে দেন মোলিনা। লক্ষ্য স্পষ্ট, আরও গোল করে ৯০ মিনিটেই জয় নিশ্চিত করতে চাইছিলেন তিনি। কিন্তু ফল হয় উল্টো। তিন মিনিটের ব্যবধানে দু’টি গোল হজম করে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলতে শুরু করে নর্থইস্ট। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে মোহনবাগানের বক্সে। সাফল্য পায়। ৫৫ মিনিটের মাথায় একটি গোল শোধ করেন আলাইদ্দিন আজারাই। মোহনবাগানের বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়ে বাঁ দিকে থাকা আজারাইকে বল পাস করেন জিতিন। সেই বলে প্রথম পোস্টের নিখুঁত জায়গায় বল রেখে বিশালকে পরাস্ত করে গোল করেন মরক্কোর খেলোয়াড়।
তিন মিনিট পর তাঁর পাসেই সমতা ফেরায় নর্থইস্ট। বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে ভাসিয়েছিলেন ডান দিকে থাকা গিলেরমো ফের্নান্দেসকে লক্ষ্য করে। চলতি বলে জোরালো শটে গোল করেন ফের্নান্দেস। বিশালকে নড়ারও সুযোগ দেননি। মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায় খেলার গতিপ্রকৃতি। গোল পেয়ে তেড়েফুঁড়ে খেলতে শুরু করে নর্থইস্ট। আরও একটি গোল করে ম্যাচ শেষ করে দিতে চাইছিল তারা।
৬৮ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন জিতিন। আশিস রাইয়ের হেড গিয়ে পড়ে তাঁর পায়ে। জোরালো ভলি মেরেছিলেন। বিশাল তা কোনওমতে বাঁচিয়ে দেন। ৭৪ মিনিটে সুযোগ এসেছিল গিলেরমোর কাছে। টম অলড্রেডকে কাটিয়ে শট নিলেও তা বিশাল বাঁচিয়ে দেন।
নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ থাকার পর টাইব্রেকারে জিতল ৪-৩ গোলে জিতল পাহাড়ের দলটি। মোহনবাগানের লিস্টন কোলাসো এবং শুভাশিস বসুর শট বাঁচিয়ে নায়ক নর্থইস্ট ইউনাইটেডের গোলকিপার গুরমিত।