আন্দোলনকে সমর্থন করলেও প্রতিদিন বিটি রোড অবরুদ্ধ হওয়ায় এখন তিতিবিরক্ত নিত্যযাত্রীরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আর জি কর-কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের নিজের শহর সোদপুর। স্বাভাবিকভাবেই ভয়াবহ ঘটনার অভিঘাত এখানে অনেক বেশি। এই শহরেই অভয়ার পরিবার, পরিজন, প্রতিবেশীরা থাকেন। তাঁর স্কুলের পড়াশোনা, চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাক্টিস সবটাই সোদপুরে। তাই ঘটনা নিয়ে এখানকার প্রত্যেক মানুষ বিচলিত ও ক্ষুব্ধ। গত ১০ আগস্ট থেকেই সোদপুরের বিভিন্ন প্রান্তে বিচারের দাবিতে মিছিল শুরু হয়েছিল। সেদিন সেই মিছিল ট্রাফিক মোড়ে আসার পর শুরু হয়েছিল অবরোধ ও বিক্ষোভ। সেই ধারা চলছে আজও।
প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ট্রাফিক মোড়ে বিক্ষোভ শুরু হচ্ছে। প্রথম দিকে ১০০ থেকে ১৫০ জন থাকলেও কিছু সময়ের মধ্যে তা পাঁচশো বা হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে বি টি রোডের দু’টি লেন। যানজট ছড়িয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। এই আন্দোলন বেশিরভাগ দিন রাত ১০ টা থেকে ১২টার মধ্যে শেষ হচ্ছে। তারপর যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও ঘন্টা দেড়েক লেগে যাচ্ছে। ফলে নিয়মিত বহু মানুষ বিপাকে পড়ছেন। সূত্রের খবর, এই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমাজমাধ্যমে একাধিক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন কর্মসূচির পরিকল্পনা তৈরি করে সকাল থেকে সমাজমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেকে আবার অফিস শেষ করে এসেও কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ চেনা বাসরুট ছেড়ে ট্রেন ধরে ফিরছেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘আমরাও বিচার চাই। তবে প্রতিদিন রাস্তা অবরুদ্ধ না করে আগাম ঘোষণার পর নির্দিষ্ট দিনে বিক্ষোভ কর্মসূচি হোক।’