আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

করোনা রোগীর প্রাণ বাঁচাতে পারে স্টেরয়েড! প্রয়োগে সমর্থন WHO-এর

September 4, 2020 | < 1 min read

প্রতিষেধক হাতে আসার আগেই করোনার চিকিৎসায় সস্তার ‘জীবনদায়ী’ ওষুধের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বেশ কয়েকটি কম ডোজের স্টেরয়েড। এই তালিকায় রয়েছে হাইড্রোকর্টিসোন, ডেক্সামিথাসোন বা মিথাইল প্রেডনিসোলোনের মতো স্টেরয়েডের নাম।

সাতটি আন্তর্জাতিক ট্রায়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৬৮ শতাংশ সঙ্কটজনক করোনা রোগী কর্টিকস্টেরয়েড প্রয়োগের ফলে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন। এর আগে একই ভাবে সঙ্কটজনক করোনা রোগীর চিকিৎসায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসোনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁরা জানান, এই স্টেরয়েড প্রয়োগ করে ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের মৃত্যুর হার কমানো গিয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। এই ওষুধের প্রয়োগে অক্সিজেনের সাহায্য নেওয়া গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং স্থিতিশীল করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার প্রায় ১৩ শতাংশ কমেছে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ-এর (ICMR) গাইডলাইনেও করোনার চিকিৎসায় ‘মেথিল প্রেডনিসলোন’ (Methylprednisolone) নামের একটি স্টেরয়েড প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ডেক্সামেথাসোনের কার্যকারিতা সম্পর্কে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের বলার আগে থেকেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (চেস্ট স্পেশালিস্ট) ডঃ অনির্বাণ সরকার জানান, ৮ মিলিগ্রাম ‘মেথিল প্রেডনিসলোন’ (Methylprednisolone) ১.৫ মিলিগ্রাম ডেক্সামেথাসোনের সমান কার্যকরী।

ব্রিটিনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল স্ট্যাটিসটিকস অ্যান্ড এপিডেমিওলজি বিভাগের অধ্যাপক জোনাথান স্টার্নের মতে, স্টেরডের খরচ কম এবং এগুলি বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই সহজলভ্য। করোনা চিকিৎসায় স্টেরয়েডের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখেছেন ব্রিটেন, আমেরিকা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, চিন, স্পেন এবং কানাডার গবেষকরা।

‘আমেরিকান মেডিকাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর (American Medical Association) একটি প্রতিবেদনে করোনা চিকিৎসায় স্টেরয়েডের ইতিবাচক কার্যকারিতার কথা দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্লিনিক্যাল কেয়ার লিড জ্যানেট ডিয়াজ জানিয়েছেন, সঙ্কটজনক করোনা রোগীদের চিকিত্‍সায় স্টেরয়েডের ব্যবহারকে জোরাল ভাবেই সমর্থন করে WHO। এই মর্মে বদল আনা হচ্ছে স্টেরয়েডের ব্যবহারের নির্দেশিকাতেও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid-19, #WHO

আরো দেখুন