রেষারেষি ভুলে বাঙালির দুগ্গাপুজোকে বাঁচাতে ঝাঁপালেন পুজো উদ্যোগক্তারা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: পুজো বয়কটের ডাক উঠছে। উলটপুরাণেও পথ দেখালেন তিলোত্তমা। রেষারেষি ভুলে বাঙালির দুগ্গাপুজোকে বাঁচাতে ঝাঁপালেন পুজো উদ্যোগক্তারা। প্রতিবাদের আবহে পুজোর হোর্ডিং লাগানো নিয়ে পৃষ্ঠপোষকেরা অনেকেই দোলাচলে ভুগছেন। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ বা পূর্ব থেকে পশ্চিমের পুজো কমিটিগুলি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরস্পরের হোর্ডিং লাগাতে নেমে পড়লেন। ‘পুজো হোর্ডিং অপারেশন’-র সুফল মিলেছে। ১০-১৫টি পরিচিত সর্বজনীন পুজো এক রাতে শহরের ৯০টি জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। শহরের বারোয়ারি পুজোগুলির সব থেকে বড় যৌথ মঞ্চ ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর সভাপতি শাশ্বত বসু বলছেন, “এমনিতে বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলির নানা রকম রেষারেষি আছে। পাড়ায় পাড়ায় টক্কর, উত্তর বনাম দক্ষিণে টক্কর বা অমুক কর্মকর্তার সঙ্গে তমুক কর্মকর্তার সংঘাত বা এই শিল্পীর সঙ্গে ওই শিল্পীর ঠান্ডা লড়াই। অনেকেরই অনেক কিছু প্রমাণ করার থাকে। কিন্তু এখন যা সময়, তাতে বিরোধ কাজের কথা নয়। সবাইকে একসঙ্গে যা করার, তা-ই করতে হবে।”
অভূতপূর্ব সব দৃশ্য দেখা গেল, ঠাকুরপুকুর এস বি পার্ক সর্বজনীনের কর্তারা নিউ আলিপুর এলাকায় দমদম পার্ক ভারতচক্রের হোর্ডিং লাগাল। কাশী বোস লেনের পুজো উল্টোডাঙায় বালিগঞ্জ কালচারালের প্রচারের আয়োজন করছে। নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ লাগাচ্ছে টালা প্রত্যয়ের হোর্ডিং বা হাতিবাগান সর্বজনীন বি টি রোডে কোথাও বড়িশা ক্লাবের হোর্ডিং লাগাচ্ছে। বি টি রোড চিড়িয়ামোড় থেকে তারাতলা, বেহালা ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড বা টালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট বা খিদিরপুর, মোমিনপুর থেকে লালবাজার, কলেজ স্ট্রিট সর্বত্র ছেয়ে গিয়েছে বিভিন্ন পুজোর হোর্ডিংয়ে।
অনেক পুজো কমিটির ধারণা, স্পনসরেরা এখন চুক্তি চূড়ান্ত না-করে শেষ মুহূর্তের দর কষাকষির অপেক্ষায় রয়েছেন। পুজোর আগে কিছুটা সস্তায় স্পনসরেরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে শর্ত চাপাবেন বলেই উদ্যোক্তাদের একাংশের আশঙ্কা।
কোনও পৃষ্ঠপোষকের সৌজন্য ছাড়াই হোর্ডিং-যজ্ঞে শামিল ১০-১৫টি পরিচিত পুজো। আরও অনেকে মিলে একযোগে কিছু করার পরিকল্পনা চলছে। রাজ্য প্রশাসনের একটা অংশও প্রতিবাদ থেকে পুজোর মেজাজ তৈরি করতে তৎপর বলে শোনা যাচ্ছে।