সুপ্রিম কোর্টকে আগ্রহ্য করে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি, কী করবে রাজ্য?
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, ডাক্তারদের এবার কাজে ফিরতে হবে। আরও জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার মধ্যে তাঁরা কাজে যোগ দিলে রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না। ট্রান্সফারও করা যাবে না। জুনিয়র ডাক্তাররা মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে কাজে যোগ না-দিলে রাজ্য সরকার শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের আন্দোলনে অনড়। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের ইস্তফা চেয়ে মঙ্গলবার তাঁরা স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দাবি মানা না-হলে তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না।
কী করবে স্বাস্থ্য ভবন?
সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে রাতারাতি নিরাপত্তা পরিকাঠামোর বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা হলফনামার আকারে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে সরকার। আরজি কর হাসপাতালে যে হাউজ স্টাফদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে এনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা ছিল, এরপর জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেবেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কোনও জুনিয়র ডাক্তার কাজে যোগ না-দেওয়ায়, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য নোটিশ দেওয়ার অধিকার হাসপাতালের রয়েছে। লাইসেন্স সাসপেন্ড করার এক্তিয়ারও সরকারের রয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি চালাতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এসমা জারি করার অধিকারও রয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা স্বাস্থ্য ভবন এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। হয়ত নবান্নের অপেক্ষায় রয়েছে তাঁরা। সরকার কোনও হঠকারী পদক্ষেপ করতে চায় না। মনে রাখতে হবে, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে বিপুল সংখ্যক রোগী ও সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টে সেই হিসাবও দেওয়া হয়েছে। ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এও দেখা যাচ্ছে, কেউ কেউ হাসপাতালে কর্মবিরতি করছে অথচ প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছে। আজ না হোক কাল সরকারকে ব্যবস্থা নিতেই হবে।
সরকার আলোচনায় বসে কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রস্তুত। মনে রাখতে হবে লাগাতার এ ধরনের কর্মবিরতি কোনও সরকারের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।