প্রতিবাদে ধাক্কা খাচ্ছে ব্যবসা, এবার হকারদের হকের দাবিতে মিছিল?

চৈত্রমাস আর পুজো, এই দু’টো সময়ে ব্যবসায়ীরা রোজগারের আশা করেন। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন ব্যবসায়ীরা?

September 12, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পুজোর আর একমাসও বাকি নেই। কিন্তু সকাল-সন্ধ্যা আন্দোলনের জেরে মাথায় হাত পড়েছে গড়িয়াহাট-হাতিবাগানের ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শনি-রবি এলেই শুরু হয়ে যায় আন্দোলন। মিটিং-মিছিল হয় সন্ধ্যায়। ভয়ে লোকজন বাজারমুখো হচ্ছে না। চৈত্রমাস আর পুজো, এই দু’টো সময়ে ব্যবসায়ীরা রোজগারের আশা করেন। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন ব্যবসায়ীরা? এবার হাত জোড় করে পথে নামবেন তাঁরা। এবার কি তাহলে হকারদের জন্য জাস্টিস চেয়ে মিছিল?

গড়িয়াহাট ইন্দিরা হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ ঘোষ বলছিলেন, “মনে রাখতে হবে, হকাররা কিন্তু অসংগঠিত শ্রমিক। তাই ব্যাঙ্ক ঋণ পান না অনেকেই। ব্যক্তিগত পরিসরে চড়া সুদে তাঁরা ঋণ নেন। সেই টাকা নিয়েই মাল তোলেন তাঁরা। কারওর তো সারাদিনে বউনিই হচ্ছে না।”

তাঁর অভিযোগ, “সাধারণ মানুষদের কাছে আমাদের আবেদন, আমাদের কথাও ভাবুন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সন্ধ্যা হলেই মিছিলে নামছেন অনেক রাজনৈতিক দল। কখনও বিজেপির লোকেরাই নামছেন, পতাকা ছাড়া। আমরা নেতৃত্বর সঙ্গে আলোচনা করছি, জাস্টিস চেয়ে এবার আমরা মিছিলে নামব।” ঝামেলা এড়াতে মানুষ ভরসা নিয়ে আসতেও পারছেন না। অটোগুলো ঘুরে আসছে বলে বেশি ভাড়া চাইছে। আম জনতা ভাবছেন, ফিরতে গিয়েই কালঘাম ছুটবে। তাই অনেকেই অনলাইন শপিংয়ে পা বাড়াচ্ছেন।

হকার সংগ্রাম কমিটি সাধারণ সম্পাদক শক্তিমান ঘোষ বলছিলেন, “একটা গুরুত্বপূর্ণ রবিবার চলে গেল। হাতিবাগান-গড়িয়াহাটের ব্যবসায়ীরা রীতিমতো কান্নাকাটি করছেন। পুজোর সময় অনেকে অস্থায়ী কর্মী রাখেন। তাঁদের পারিশ্রমিক দিতে পারেননি অনেকে। আন্দোলন চলুক। আমরা সকলেই আর জি করের বিচারের চাই। গরিব-খেটে খাওয়া মানুষরা শোচনীয় অবস্থায় পড়ছেন। আমরা বলছি, রাত দখল করুন। কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু দয়া করে সকালে-বিকেলে মিছিল করে খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি মারবেন না। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে হাতজোড় করে দাঁড়াব। আমরা তো মরে যাচ্ছি। গোটা কলকাতায় বিভিন্ন এলাকায় হকাররাও দাঁড়াবেন।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen