বাংলায় মাইক্রোস্কোপ দিয়ে গণতন্ত্র খুঁজতে হবে- দিলীপ ঘোষ
বিজেপির ‘বাংলা বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করে বললেন, “মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যবাসীর উপর ভরসা নেই, হেরে যাওয়ার ভয়ে ভোট করাতে চাইছে না।” অভিযোগের সুরে বললেন, বাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন। এদিন রাজ্যকে বিঁধেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা, মুকুল ঘোষরাও।
বিজেপির ‘বাংলা বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচিতে শুক্রবার রাজ্যের মোট ৮০টি এসডিও অফিসের সামনে ধরনা-বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতা-কর্মীরা। মেয়ো রোডে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya), রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা-সহ অন্যান্যরা। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বলেন, “বাংলায় গণতন্ত্রের গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে। ভোটে হেরে যাবে এই ভয়ে পুরভোট করাননি মুখ্যমন্ত্রী।” ব্যালটে ভোট ইস্যুতে বিজেপি সাংসদ বলেন, “২০১৬ সালে ইভিএমে জিতেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন হঠাৎ ব্যালট চাইছেন। ভোটে ইভিএমে হোক বা ব্যলটে, দু’টোতেই হারাব।” এরপরই বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “CPM বিরোধীদের আটকাতে যা করেছে, তৃণমূলও ঠিক তাই করছে। খুন, হামলা এসব করে চলছে। পুলিশ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। সন্ত্রাস চলছে রাজ্যে।এরাজ্যে বিধায়করাও সুরক্ষিত নয়। তাই পথে নামতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।” গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হবে গণতন্ত্রকে!”
এদিনের কর্মসূচি থেকে মুকুল রায়ে প্রশংসা করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এরপর রাজ্য সরকারকে বিঁধে কৈলাস বলেন, “রাজ্যে অরাজকতা চলছে। সরকারের বিরুদ্ধে গেলে আর রেহাই নেই। সেই কারণেই আমরা গণতন্ত্র বাঁচাও আন্দোলনে নেমেছি। কিন্তু কেউ কী ভেবেছেন স্বাধীনতার এত বছর পর কেন এই আন্দোলন করতে হচ্ছে?” মুকুল রায় বলেন, একুশে গণতন্ত্রের জিত হবেই। পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন রাহুল সিনহা বলেন, যে পুলিশকর্মীরা সরকারের হয়ে কাজ করছেন তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। ক্ষমতায় এলে তাঁদের সঠিক শিক্ষা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এদিন হাওড়া থেকে পুলিশকে হুমকি দেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “যাঁরা সরকারের হয়ে কাজ করছেন, তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। পেনশন পাবেন না। গ্রাচুয়িটি পাবেন না। ওযুধ কিনতে পারবেন না।”রাজ্য বিজেপির সভাপতির এহেন মন্তব্যে শুরু বিতর্ক।