নিয়োগী বাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও মানা হয় কোন বিশেষ রীতি?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বরানগর বারুই পাড়া লেনের নিয়োগী বাড়ির দুর্গা সাত সমুদ্র, তের নদীর জল ও সাত পাহাড়ের মাটিতে মহাস্নান সারেন। নিয়োগী বাড়ির পুজো এবার ১১০ বছরে পা দিল। বহু মানুষ দেবীর কাছে মানত করেন। মনোবাঞ্ছা পূরণ হলে ভক্তরা পুজো দিতে দৌড়ে আসেন। নিয়োগী বাড়ির দুর্গা খুব জাগ্রত। অষ্টাদশীর বেশে মাঝেমধ্যে মণ্ডপে হাজির হয়ে আচমকা কাউকে দেখা দেন দেবী। তারপর যান অদৃশ্য হয়ে।
বাংলা ১৩২১ সনে, খগেন্দ্রনাথ নিয়োগী স্বপ্ন দেখেন, নৌকায় যাচ্ছেন। পাড়ে দাঁড়িয়ে এক অষ্টাদশী কিছু পোশাক চাইছে। তিনি একটি কাপড় এগিয়ে দিতে গেলেন। মাত্র দশ হাত দূরে জগজ্জননী দুর্গাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। খগেন্দ্রনাথ বাড়িতে দুর্গা পুজো শুরু করলেন পুজো। স্ত্রীর গহনা বন্ধক রেখে টাকার সংস্থান হল। ৩০ ফুট লম্বা দুর্গামণ্ডপ তৈরি হল। মণ্ডপের নীচে বিশালাকার গর্ভগৃহ হল। সেখানেই আজও পুজো হয়ে চলেছে।
নিয়োগী বাড়িতে বলিদান হয় সোনার হাতল লাগানো খড়্গে। রোমহর্ষক কাহিনি রয়েছে এ বাড়ির পুজো ঘিরে। খড়্গটি বর্ধমানের এক জমিদার বাড়ির। নিয়োগী বাড়িতে এখনও ওই খড়্গ দিয়েই চালকুমড়ো, আখ, কলা বলি হয়। চালের নৈবিদ্য, লুচি, সুজি, বিভিন্ন রকমের ভাজা, রকমারি তরকারি, মিষ্টি ও ফল দুর্গার ভোগে নিবেদন করা হয়। রাজকীয়ভাবে দেবীর মহাস্নান হয়। সাত সমুদ্র, তের নদীর জল আসে। নিয়ে আসা হয় সাত পর্বতের মাটি। কৌশিকি অমবস্যায় ধরে রাখা বৃষ্টির জল মিশিয়ে মহাস্নানের বারি প্রস্তুত করা হয়।