এবার ২১৬ বছরে পা দিল জলপাইগুড়ির নিয়োগীবাড়ির দুর্গাপুজো
পঞ্চমীতে মনসা, অষ্টমীতে দুর্গার সঙ্গে মা কালীও পুজো পান। বছরের পর বছর ধরে জলপাইগুড়ির নিয়োগী বাড়িতে চলে আসছে এই রীতি।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার ২১৬ বছরে পা দিল জলপাইগুড়ির নিয়োগীবাড়ির দুর্গাপুজো। ঢাকার পাটগ্রাম, কলকাতার ভবানীপুর পেরিয়ে, এখন জলপাইগুড়ি শহরের কামারপাড়ায় এই পুজো হচ্ছে। আজও অটুট ঐতিহ্য। পুজোয় মানা হয় সব প্রাচীন রীতিনীতি। পঞ্চমীতে মনসা, অষ্টমীতে দুর্গার সঙ্গে মা কালীও পুজো পান। বছরের পর বছর ধরে জলপাইগুড়ির নিয়োগী বাড়িতে চলে আসছে এই রীতি।
চিরাচরিত দুর্গা প্রতিমার চেয়ে নিয়োগী বাড়ির দুর্গা মূর্তি আলাদা। কার্তিক ও গণেশের অবস্থান উল্টো। মা দুর্গার বাঁদিকে থাকে গণেশ। নবপত্রিকা থাকে কার্তিকের পাশে। মা দুর্গার রঙ অতসী ফুলের মতো। একদা পাঁঠাবলি হত। এখন তা বন্ধ। এখন চালকুমড়ো বলি হয়। নবমীতে হয় ‘শত্রু বলি’। কলার থোড়ের উপর চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা হয় অবয়ব। ‘শত্রু’কে বলি দিয়ে ছুড়ে ফেলা হয় বাড়ির বাইরে। আজও স্বমহিমায় রয়ে গিয়েছে নবমীতে ‘দুর্গা দই’ খাওয়ার রীতি। লেবুর পাতা দিয়ে ঘোলের মতো বিশেষ পানীয় বানানো হয়।
এবারেও পুজোর সঙ্গেই চলছে পত্রিকা প্রকাশের তোড়জোড়। প্রতিপদে চণ্ডীর ঘট স্থাপনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে যায় পুজো। দশমীতে অপরাজিতা পুজোর মাধ্যমে শেষ হয় পুজো। একদা করলা নদীতে জোড়া নৌকায় প্রতিমা বিসর্জন হত।