‘জীবন্ত’ পাহাড় গড়ে তুলছে ব্যান্ডেলের নবীন সঙ্ঘ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পাথরের বিকল্প হিসেবে কাপড় বা মাটির নির্মাণকাজ পিছিয়ে এগিয়ে আসছে কংক্রিট। আবার কল্পনাকে পুরোদস্তুর ‘জীবন্ত’ করার প্রাণান্তকর প্রয়াসও আছে। বাঙালির প্রাণের পুজোকে কেন্দ্র করে চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার পসরা সাজিয়ে বসছে মণ্ডপ থেকে আলোকসজ্জা, প্রতিমা থেকে আয়োজনের রকমফের। বাতাসে গাঢ় হচ্ছে শিউলি গন্ধ, জমাট শ্বেত মেঘের রমরমা দিগন্ত রেখায়। আর মাটিতে মাথা তুলছে অনবদ্য, অনাস্বাদিত গড়ন।
প্রাচীন সভ্যতার দেব-দেবীদের অবয়ব কেমন ছিল, মন্দিরই বা কেমন হতো। ঐতিহাসিক নিদর্শন আছে পাথর কুঁদে তৈরি করা নানা পাহাড়ের গায়ে। আছে গুহাকন্দরে। আস্ত পাথর কেটে তৈরি করা মন্দিরও সাবেক ভারত ভূখণ্ডে বিরল নয়। পুজো মরশুমে সেই সময়কেই আস্ত তুলে আনতে চাইছে ব্যান্ডেলের নবীন সঙ্ঘ। এখানে দেবী দশভূজা এবার গিরিকন্দরে দর্শন দেবেন। চড়াই পাহাড় ভেঙে ওঠার পরে দেবীর দর্শন মিলবে পাতালের অতলে।
গত একমাস আগে থেকে ‘জীবন্ত’ পাহাড় তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন মণ্ডপ শিল্পীরা। পাহাড়কে গড়ে তুলতে কেজি কেজি সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। পাথুরে আকৃতি আনতে দেবীকেও কিছুটা কংক্রিট আর কিছুটা মাটি দিয়ে গড়ে তুলছে তারা। একেবারে আসলের মতো আস্বাদ দিতে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে গড়ে তোলা হচ্ছে বনবাদাড়। রীতিমতো বীজ ফেলে আসল গাছের জন্ম দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ক্লাবকর্তা গৌতম দাস বলেন, ‘প্রাচীন সভ্যতা’ আমাদের থিম। তাকে স্বাভাবিক চেহারায় ধরতে যা যা প্রয়োজন সব করা হচ্ছে। আলোকসজ্জা হবে থিমের সঙ্গে মানানসই করে।