ডাক্তাররা অন্তত হাসপাতালে ফিরুক, চাইছেন রোগীর পরিজনরা

হস্পতিবারের প্রবল গরমে দুপুরের দিকে কার্যত নাকানিচোবানি খেলেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা।

September 20, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ডাক্তাররা অন্তত হাসপাতালে ফিরুক, চাইছেন রোগীর পরিজনরা

বৃহস্পতিবারের প্রবল গরমে দুপুরের দিকে কার্যত নাকানিচোবানি খেলেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। তার মধ্যে ওপিডিগুলোতে দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে হল। অভিযোগ সেই একই, ‘ওপিডিগুলোতে ডাক্তারবাবুদের সংখ্যা অনেক কম।’ কর্মবিরতির জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্যভবন চত্বরে অবস্থান করছেন। আর দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ডাক্তার দেখাচ্ছেন রোগীরা। এখানেই শেষ নয়, বর্ধমান থেকে বাবা আখতার মোল্লাকে নিয়ে এসএসকেএমে এসেছিলেন আব্দুল সামিনুল।

কৃষক পরিবারের সদস্য আখতারের মাথায় রক্ত ক্লট বেঁধেছে বেশ কয়েকদিন আগেই। সামিনুল বলছিলেন, ‘বাবা তো প্রায় সপ্তাহ খানেক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকেই বলল, কলকাতায় নিয়ে আসতে হবে।’ এর মাঝে একদিন বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা কমছে না। উল্টে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ এসএসকেএমে এসেছিলেন ওঁরা। জরুরি বিভাগের সামনে ট্রলিতে শুয়ে আখতার সমানে মাথায় ঘুসি মারছেন… যন্ত্রণায়।

আর সামিনুল বলছিলেন, ‘কোনওভাবে কি ভর্তি করানো সম্ভব? একটু দেখুন না!’ তাঁর আক্ষেপ, ‘সকালে প্রথমে ইমার্জেন্সিতে এলাম। বলল, সার্জারিতে যান। গেলাম। ওখানে দেখে আবার বলল ইমার্জেন্সিতে আসতে। এখান থেকে আবার কোথায় একটা পাঠাল। আমরা তো বাইরে থেকে এসেছি। এতসব জানিও না। এখন আবার ইমার্জেন্সির সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছি। বলছে, ভর্তি নেওয়া যাবে না।’ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দিনভর হাসপাতালের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত মায়ের সঙ্গে ঘুরে চলেছেন সামিনুল। ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা বাবাকে। নিরাপত্তারক্ষী এসে তাঁদের বলছেন, ট্রলি নিয়ে সাইডে দাঁড়ান। বিরক্ত হয়ে সামিনুল বলছিলেন, ‘এই কর্মবিরতির জন্যই নাকি এত সমস্যা হচ্ছে। আমরা তো গ্রামের লোক। এত ভোগান্তি নেব কেন?’

ইউএসজির ডেট নিতে আসা মুর্শিদাবাদের আর এক রোগীর বক্তব্য, ‘সবই তো হচ্ছে। মাঝখান থেকে ভুগছি আমারা। ঘণ্টা দু’য়েক লাইনে দাঁড়িয়ে ডাক্তার দেখালাম। ওরা বলছে, উৎসবে ফিরবে না। সে ভালো কথা। ফিরতে হবে না। অন্তত হাসপাতালে ফিরুক! এটুকুই চাইছি।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen