দলের সম্মেলনে ভোটাভুটির আগে চা পানের বিরতি নিয়ে কড়া সতর্কতা সিপিএমে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সিপিএমের অন্দরে বিভিন্ন স্তরে সম্মেলন হয় নিয়মিত। সেই সম্মেলনে ভোটাভুটির মাধ্যমে মনোনীত হন জেলা,শাখা, এমনকী এরিয়া কমিটির সদস্যরাও। সম্মেলনে প্যানেল পেশের পর চা পানে বিরতির রেওয়াজ আছে। সেই রেওয়াজেই ইতি টানতে চাইছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
শাখা থেকে এরিয়া কিংবা জেলা কমিটির সম্মেলনে এমনই নির্দেশ দিয়েছে আলিমুদ্দিন।
সম্মেলনের গাইডলাইন সংক্রান্ত নির্দেশিকায় গোপন ব্যালটে নির্বাচন করার পদ্ধতি সংক্রান্ত নিয়মে বলা হয়েছে –
- সম্মেলনে প্রতিনিধি নির্বাচন পরিচালনার সামগ্রিক তদারকির দায়িত্বে থাকা কমরেড তালিকায় প্রার্থী হিসাবে থাকবেন না।
- নির্বাচন তদারকি করার দায়িত্বে থাকবেন সম্মেলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত উচ্চতর কমিটির সদস্য অথবা সভাপতিমণ্ডলীতে থাকা বরিষ্ঠ কোনও নেতা।
- প্রার্থী তালিকায় প্রথমে সরকারি প্যানেল থাকবে, তার পর ক্রমানুসারী সম্মেলন কক্ষ থেকে প্রস্তাবিত অতিরিক্ত নাম থাকবে।
- প্যানেল পেশের পরে আধঘন্টা বা এক ঘন্টা চায়ের বিরতি দেওযার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
- ভোট গণনার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা নিজেরা প্রার্থী হবেন না।
এই পাঁচ নম্বর নিয়মেই চা পানের বিরতি না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পার্টিতে বিভিন্ন স্তরের কমিটিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা তুলে দেওয়া হল বলে সম্মেলন নির্দেশিকা সংক্রান্ত পার্টি দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য, যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্ব যাতে পার্টিতে অবদান রাখার সুযোগ পায়। তবে গড় বয়স হ্রাস করার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সমস্ত কমিটিতেই নতুন ও পুরনো সমন্বয় রাখার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ করা হয়েছে, বয়স ও শারীরিক সক্ষমতার প্রশ্নটি কমিটির সদস্যদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় রাখতে হবে। নতুন-পুরনো সমন্বয়েই আলাপ-আলোচনা ও বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে এই কাজের অগ্রগতি ঘটাতে হবে। গতবারের থেকে এবার জেলা কমিটিতে মহিলাদের বেশি করে অন্তর্ভুক্তি সুনিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। অর্থাৎ, আগামী দিনে পার্টিতে বেশি করে মহিলা মুখ তুলে আনার ক্ষেত্রেই জোর দিয়েছে আলিমুদ্দিন।