কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রী প্রকল্পের প্রশংসা ইউনিসেফের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রী প্রকল্পের প্রশংসা করল ইউনিসেফ। বিগত কয়েক বছরে এই দু’টি প্রকল্প সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। শুক্রবার সিআইআই ইস্টার্ন রিজিয়ন আয়োজিত ‘ইম্প্যাক্ট ইস্ট’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই দুই প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গে নিযুক্ত ইউনিসেফের ‘চিফ অব ফিল্ড অফিস’ মঞ্জুর হোসেন। তাঁর কথায়, ‘কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলির ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলার সমাজ ব্যবস্থায়। এই দুই প্রকল্পের সৌজন্যে স্কুলছুটের সংখ্যা এবং বাল্যবিবাহ কমেছে।’
কন্যাশ্রী প্রকল্পে অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের প্রতি বছর এক হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়া, ১৮ বছর পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে গেলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেয় রাজ্য। এখনও পর্যন্ত তিন কোটির বেশি উপভোক্তা এই সুবিধা পেয়েছেন। আর রূপশ্রীর মাধ্যমে গরিব পরিবারে মেয়েদের বিয়ের সময় একাকলীন ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন রাজ্যের ১৮ লক্ষের বেশি মহিলা।
২০১৭ সালে কন্যাশ্রীকে শ্রেষ্ঠ প্রকল্পের তকমা দেয় ইউনাইটেড নেশনস। নেদারল্যান্ডসে গিয়ে সেই পুরস্কার নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রূপশ্রীর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থার স্বীকৃতি এই প্রথম। তাই এই সম্মান রাজ্যের মুকুটে নতুন পালক যুক্ত করল।