প্রতারণার নয়া ফাঁদ! CBI-র নামে ভয় দেখিয়ে ‘ডিজিটাল স্ক্যাম’
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সক্রিয় হয়ে উঠেছে এক নয়া চক্র, তারা সিবিআইয়ের নামে ভুয়ো তদন্তের ভয় দেখিয়ে প্রতারণার কারবার শুরু করেছে। সিবিআইয়ের নাম করে হুগলির কোন্নগর পুরসভাকে তদন্ত সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয় সম্প্রতি। তারপরই ডিজিটাল স্ক্যামের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সিবিআইর লোগো ও যাবতীয় চিহ্ন হুবহু ব্যবহার করে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।
দেশের অন্যতম তদন্তকারী সংস্থা ডিজিটাল স্ক্যামারদের কবলে পড়া উদ্বেগজনক। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি সিবিআই। ডিজিটাল স্ক্যাম নিয়ে প্রচারের পরিকল্পনা করেছে সিবিআই। কোনও সংস্থা বা কর্তৃপক্ষকে তদন্তের প্রয়োজনে চিঠি বা নোটিশ পাঠানোর প্রক্রিয়া উল্লেখ করে নাগরিকদের সর্তক করছে তারা। পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট সবক’টি প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান, এমনকী নিজেদের অধীনস্ত ইউনিটগুলিকেও সিবিআই সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আগস্ট মাস থেকে ডিজিটাল স্ক্যামারদের নিয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছে এই তদন্তকারী সংস্থা। সংস্থার নাম করে ভুয়ো চিঠি, ভুয়ো সমন পাঠানো চলছে দেদার। ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের কারবারও চলছে।
চলতি মাসের ১৭ তারিখ সিবিআইয়ের ভিজিল্যান্স বিভাগের অতিরিক্ত ডিজির নামে পাঠানো একটি চিঠি পায় কোন্নগর পুরসভা। কোন্নগর ও সংলগ্ন এলাকায় ঠিকাদার সিন্ডিকেটের প্রতারণা নিয়ে তদন্তের প্রয়োজনে পুরসভার কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হয় চিঠি। সিবিআইয়ের চিঠি পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে পুরসভা। পুর-কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। সামনে আসে ডিজিটাল স্ক্যাম। ওই চিঠিতে প্রতারকের দল জানিয়েছিল, স্থানীয় উত্তরপাড়া থানাকেও চিঠির প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সোমবার উত্তরপাড়া থানার পুলিশ দাবি করেছে, সিবিআইয়ের নামে কোনও চিঠি তারা পায়নি। এমনকী, চন্দননগর কমিশনারেটের কাছেও ঠিকাদার সিন্ডিকেট নিয়ে সিবিআই তদন্তের কোনও নথি নেই!
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কোন্নগরে ঠিকাদারি ব্যবসা হাতিয়ে নেওয়ার একটি চক্র সক্রিয় হয়েছিল। পুলিশ সে’ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে। সে বিষয়ে সিবিআই তদন্ত করছে বলে চিঠি দেওয়া হয়। পুরসভার কাছে নথি চাওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে পুরসভা।