রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

২৩১ বছরে পড়ল ডোমজুড়ের ঘোষবাড়ি দুর্গাপুজো, দেবীর অলৌকিক কাহিনিটি জানেন?

September 25, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, অভাবের জেরে আত্মহত্যা করতে গেলেন রামরাম ঘোষ। প্রাণ দেওয়ার আগে সধবা বৃদ্ধার বেশে দর্শন দিলেন দুর্গা। ঘটল অলৌকিক ঘটনা। দুর্গার আশীর্বাদে চার ঘড়া মোহর পেল ঘোষ পরিবার। ভাগ্য ফিরল। সেই ২৩১ বছর আগে ডোমজুড়ের খসমরা গ্রামের ঘোষবাড়িতে শুরু হল দুর্গার পুজো। এখনও পুজো হচ্ছে।

পলাশীর যুদ্ধের পর দামোদরের বন্যায় বাড়ি খুইয়ে রামরাম ঘোষ চলে আসেন হাওড়ার খসমরা গ্রামে। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে অনটন চরমে পৌঁছলে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বাড়ির কাছে একটি পুকুরে ঝাঁপ দিতে যেতেই পুকুর পাড়ে সধবা বৃদ্ধার বেশে তাঁর সম্মুখে এলেন দুর্গা। তাঁর নির্দেশে, মাটি খুঁড়ে চার ঘড়া মোহর পেলেন রামরাম। তা থেকে ১০০১টি স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে বর্ধমানের মহারাজ রাজা তিলকচাঁদ রায়ের রাজ দরবারে গিয়ে উপস্থিত হলেন। স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে মহারাজা তিনখানি মৌজার জমিদারিত্ব দিলেন রামরামকে। ঘোষ বাড়িতে শুরু হল দুর্গাপুজো।

ঘোষবাড়ির দুর্গা তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা, একচালায় বিরাজিতা দেবী ডাকের সাজে সজ্জিত হন। সপরিবারে থাকেন। আগে ছাগল ও মোষ বলির প্রচলন থাকলেও এখন তা হয় না। নিয়ম মেনে আজও তিনটি মাটির মালসায় ২১খানা লুচি দেওয়ার রীতি। সঙ্গে থাকে সাত প্রকারের নাড়ু। পালা করে পুজোর ব্যয় বহন করা হয় এখন। পুজোর চার দিন দুর্গার সঙ্গেই পূজিতা হন বাড়ির অধিষ্ঠাত্রী মনসা। পুজোয় হাজার হাজার মানুষের ভিড় উপচে পড়ে আজও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#durga puja, #Domjur, #Ghoshbari Puja, #Durga Puja 2024

আরো দেখুন