আড়িয়াদহের মুখোপাধ্যায় বাড়ির দেবী হেঁটে চলে বেড়ান, জানেন গায়ে কাঁটা দেওয়া কাহিনি?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আড়িয়াদহের দিল্লি পাড়ার পুজো প্রায় ২০০ বছরে পা দিল। সন্ধ্যা আরতির পর হাঁটতে বের হন দেবী। বাড়ির পিছনের পুকুরে ঘাটে একাধিকবার দেবীকে দেখেছেন অনেকেই। আড়িয়াদহের মুখোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাকে নিয়ে নানান কাহিনি রয়েছে। বিপদে এক মনে দুর্গাকে ডাকলে তিনি উদ্ধার করবেনই।
মুখোপাধ্যায় বাড়ির স্থায়ী দালানে দুর্গার আরাধনা হয়। মহালয়াতে প্রতিমা আসে। পঞ্চমীতে বোধন হয়। পঞ্চমীতে কূলদেবী শীতলাকে মণ্ডপে আনা হয়। সন্ধ্যায় কূলদেবী, নারায়ণ ও বাণেশ্বর শিবকে আনা হয় মণ্ডপে। দুর্গা দালানে কলা বউ স্নান করানো হয়। ষষ্ঠী থেকে শুরু ভোগ। খিচুড়ি, পোলাও, ভাজা, তরকারি, পায়েস, মিষ্টি সহ একাধিক পদ নিবেদন করা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর ভোগে থাকে বিভিন্ন ধরনের মাছ। রুই, কাতলা ও ইলিশের নানা পদ। রাতে শীতল ভোগে লুচি, হালুয়া, রকমারি তরকারি ও মিষ্টি। দশমীতে পান্তা ও কচুশাক দিতে হয় দুর্গাকে।
বিসর্জনের আগে অপরাজিতা পুজো হয়। নবমীতে কুমারী পুজো। বিসর্জনের সিঁদুর খেলা পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। পরিবারের সদস্য ছাড়াও বহু মানুষ আসেন সিঁদুর খেলায় যোগ দিতে। বিসর্জনের আগে কূলদেবতাদের নিজের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্গাকে বাড়ির মেয়ে হিসাবেই আরাধনা করা হয়।