কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

আবেদন খারিজ পুরোহিতদের, পুজোর ৭ দিন আগে মহিষাসুরমর্দিনী বাজাবে না আকাশবানী

September 5, 2020 | 2 min read

ভাঙছে না আদি-রীতি। ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়ার ভোরেই শুধু বাজবে মহিষাসুরমর্দিনী। শুক্রবার বৈঠকের পর তাঁদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল আকাশবাণী কলকাতা। ফলে দুর্গাপুজোর একমাস আগে মহালয়া পড়ায় দু’বার আকাশবাণী তাঁদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে কি না, তা নিয়ে যে দোলাচল তৈরি হয়েছিল, তা কেটে গেল।

চলতি বছরে বিশ্বকর্মা পুজোর ভোরেই বাজবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) চণ্ডীপাঠ। তারপর দিনের তেজ বাড়তে বাড়তেই একে একে জোরালো হতে শুরু করবে ভো-কাট্টা হাঁক। সামাজিক দূরত্বের বিধি থাকলেও কারখানার গেটে দেখা মিলতে পারে শ্রমিকদের অসংলগ্ন জমায়েত। হই-হট্টগোলের মধ্যেই হয়তো কোথাও তারস্বরে বেজে উঠবে পুজোর মাইক।ইতিউতি সামান্য কিছু গোলমালও হয়তো নজরে পড়বে। আবার অন্যপ্রান্তে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে দেখা যাবে পিতৃতর্পণের চেনা ছবি। মাস্ক-কবচ ছেড়ে জলে নামতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে এক বুক জলে দাঁড়িয়ে সেসব দ্রুত সেরে ফেলতে হবে।

মহিষাসুরমর্দিনী দ্বিতীয়বার সম্প্রচারের প্রসঙ্গে আকাশবাণী কলকাতার প্রোগ্রাম হেড সুব্রত মজুমদার বললেন,  “না, তা তো সম্ভব নয়।” তাঁর কথায়, “মহিষাসুরমর্দিনী আজ একটা মিথ। একটা নির্দিষ্ট রীতি মেনে, নিষ্ঠা নিয়ে এর সম্প্রচার হয়ে আসছে প্রথম থেকে। এক সময় লাইভ হত। পরে হয় রেকর্ড। সেই রীতি মেনেই এবারও মহালয়ার ভোরেই সম্প্রচার হবে। এর মর্যাদাই আলাদা। অন্য কোনও দিনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। তাই তাকে আর দ্বিতীয়বার শোনানো যায় না।” পরে ২২ অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন ভোর পাঁচটায় বাজবে উত্তমকুমারের কণ্ঠের ‘দেবীদুর্গতিহারিনী’।

একটি খবর সকলেরই জানা। একটা সময় পর্যন্ত বাণীকুমার, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জুগলবন্দি প্রতি বছর লাইভ সম্প্রচার করত মহিষাসুরমর্দিনী। ভোর চারটের অনেক আগে শিল্পীরা আকাশবাণী পৌঁছে যেতেন। নির্ধারিত সময়ে শুরু হত লাইভ সম্প্রচার। কিন্তু একটা সময়ের পর এই চণ্ডীপাঠের শিল্পীদের কণ্ঠ ধরে রাখার প্রয়োজন অনুভব করেন সকলেই। রেকর্ড হয়। যা পরে কিনে নেয় এইচএমভি। সেটিই এখন অন্যান্য রেডিও স্টেশন সম্প্রচার করে। কিন্তু এখানেই বলে রাখা দরকার, রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে একটি নয়, একাধিকবার তাতে ভ্যারাইটি আনেন বাণীকুমার। সুব্রতবাবুর কথায়, তাঁরা নানা গবেষণা করেছেন এটা নিয়ে। কখনও নতুন গান সংযোজিত হয়েছে। তার জন্য কখনও হয়তো নির্দিষ্ট কোনও শিল্পীকে না পেয়ে অন্য কাউকে দিয়ে সেই গান তোলানো হয়েছে। তার সব ক’টিই রয়েছে আকাশবাণীর সংগ্রহে। কখনও কখনও বদলে বদলে সেগুলি শোনানো হয়। গত বছরই যেমন ছয়ের দশকের প্রথম দিকে রেকর্ড করা একটি চণ্ডীপাঠ শোনানো হয়েছিল। এটাও একটা রেওয়াজ। সেইসব বহুমূল্য সংগ্রহের মধ্যে থেকেই একটি এবার শোনানো হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#durga Pujo, #Mahalaya, #Akashvani

আরো দেখুন