পুজোর আগে দীর্ঘ আন্দোলন-বৃষ্টি, সাঁড়াশি আক্রমণে দিশাহারা দোকানিরা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। অনবরত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। এই বৃষ্টিতে শহরের বাইরে থেকে খুব কম মানুষই বাজার করতে এসেছিলেন। নিউ মার্কেটের হকাররা একবার জামা-কাপড় নিয়ে রাস্তায় বসছেন, আবার বৃষ্টি এলেই গুটিয়ে নিচ্ছেন। এই অবস্থায় কী আর ব্যবসা চালানো যায়!
জামা-কাপড়ের এক ব্যবসায়ী রনি বলছিলেন, ‘এরকম আবহাওয়া ব্যবসা করা যায় না। এমনিতেই দীর্ঘ আন্দোলনে আমাদের পেটে লাথি পড়ে গিয়েছে, তার উপর আবার বৃষ্টি। সাঁড়াশি আক্রমণে আমরা দিশাহারা।’ গত সপ্তাহ থেকে একটু একটু করে বাজারটা ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। আন্দোলনের রেশ একটু কমলেও বৃষ্টি আবার ঝামেলা শুরু করছে। তাও নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট কিংবা হাতিবাগান একেবারে ফাঁকা ছিল না। মানুষের সমাগম হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু পুজোর বাজারের মেজাজ ছিল না।
নিউ মার্কেটের বস্ত্র ব্যবসায়ী পারভেজ আলমের কথায়, ‘দেখতেই তো পাচ্ছেন, লোক কম। চিত্কার করে করে ডাকতে হচ্ছে। পুজোর কয়েকদিন আগে এত কম লোক থাকে কখনও? এত বৃষ্টির মধ্যে কে আসবে বলুন।’ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সপরিবারে বাজার করতে এসেছিলেন উত্তরপাড়ার তাপস হালদার। এক হাতে সন্তান আর অন্য হাতে ছাতা, ব্যাগ সামলাতে সামলাতে বলছিলেন, ‘কেনাকাটি হয়ে গিয়েছে। এবার হাওড়ায় যাব ট্রেন ধরতে। বৃষ্টিতে মনের মতো কেনাকাটি করা গেল না। কী আর করা যাবে!’
নিউ মার্কেটেরই যেন অ্যাকশন রিপ্লে দেখা গেল গড়িয়াহাটে। ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টির মধ্যে সন্ধ্যার চেনা ভিড় নেই দক্ষিণ কলকাতার এই হটস্পটে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য একটাই, ‘কাল-পরশুর মধ্যে বৃষ্টি থেমে গিয়ে রোদ উঠলে ভালো। শনি-রবিবারে কিছু ব্যবসা করা যাবে। তবে শুধু বৃষ্টি থামলে তো হবে না। মিটিং-মিছিলও যেন না থাকে, সেটাও আমাদের প্রার্থনা। দু’টোই একসঙ্গে চললে আমাদের ফের ব্যবসা ঘেঁটে ঘ!’