মহালয়ার পুজো উদ্বোধনের মধ্যেই ‘বাংলা বিরোধীদের’ বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: শুরু হয়ে গিয়েছে দেবীপক্ষ, মহালয়ার একের পর এক পুজোর সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো উদ্বোধনের মধ্যেই ‘বাংলা বিরোধীদের’ বিরুদ্ধে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে বা যাঁরা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন, বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের অন্যায়ের ক্ষমা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এই সূত্রেই উৎসব বন্ধ করা নিয়ে যাঁরা প্রতিদিনই সোচ্চার হচ্ছেন, তথ্যসহ তাঁদের জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার মহালয়ায়, কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণের একাধিক দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতিবাগান সর্বজনীন, যোধপুর পার্ক, ৯৫ পল্লি, বাবুবাগান, সেলিমপুর পল্লি, চেতলা অগ্রণী ক্লাবের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। চেতলা অগ্রণীতে দুর্গা প্রতিমায় চোখ আঁকেন তিনি। জেলায় জেলায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৩২০টি পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নজরুল মঞ্চে দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার কথা ও সুরে গানের অ্যালবাম ‘অঞ্জলি’ প্রকাশিত হয়েছে। উৎসব বন্ধ করার দাবি তুলেছেন কেউ কেউ, তাদের পাল্টা জবাব দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, “পুজো-উৎসব কেন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে! জেনে রাখুন, আমাদের ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। আমরা সমস্ত ধর্মকেই মানি। সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সমন্বয় রয়েছে বাংলায়। সবাইকেই নিয়ে চলি আমরা। আর আমাদের এই প্রাণের উৎসবের সঙ্গে বহু মানুষের কর্মসংস্থান, উপার্জন জড়িয়ে আছে।”
পুজো-উৎসবের সময়ে আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মমতার অভিযোগ, বাংলার সম্পর্কে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে কেউ কেউ। মমতা বলেন, “বাংলা নিয়ে সারা বিশ্বে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। যাঁরা এটা করছেন, একদিন তারা বুঝতে পারবেন, তারা যে অন্যায় করছেন, তার ক্ষমা হয় না। বাংলা মাকে অসম্মান করে জীবনে বড় হওয়া যায় না।”
দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যায় আরজি কর প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “আরজি কর হাসপাতালের মর্মান্তিক ঘটনায় আমার হৃদয় জ্বলে ছারখার হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছিল আমার পরিবারের কেউ যেন চলে গিয়েছে। কোনও মানুষই এটা মেনে নিতে পারবে না। আমার বাড়িতেও মেয়ে আছে, আমিও একজন অভিভাবিকা, আমি বুঝি—যন্ত্রণা কোথায় বিদ্ধ করে, শাস্তির দাবিতে কেন উদ্যত হয় মানুষ।”
ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা বিল’ বিধানসভায় কেন পাস করানো হয়েছে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যায় লিখেছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, বাংলার অপরাজিতাদের তাঁরা অপরাজিতাই রাখবেন।