পুজোর সময়ও চিকিৎসকদের কর্মবিরতি? উৎকন্ঠা মানুষের মনে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘সপ্তমী থেকে দশমী, ক্যালেন্ডারে ১০ থেকে ১২ অক্টোবর। ঈশ্বর করুন যেন কারও বিপদ আপদ না হয়। তাহলে অশেষ ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে। এমন হলে কোথায় যাব আমরা? প্রাইভেটে গেলে হয়তো দেখা যাবে বহু চিকিৎসক বেড়াতে গিয়েছেন, নয়তো ছুটিতে। আর সরকারি জায়গায় তো জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি ডেকে বসে আছেন। ওই সময় পরিবারের কারও বড় বিপদআপদ হলে কী হবে? আন্দোলনরত অল্পবয়সি ভাইবোনদের বহু দাবির প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েও বলছি, মানুষের ভোগান্তির কথাগুলিও তোমরা ভেবে দেখো। পুজোয় আনন্দের দিনে যাঁদের পরিবারে বয়স্করা আছেন, অসুস্থ রোগী আছেন, সমস্যায় পড়লে তাঁরা কোথায় যাবেন? আক্ষেপ করে বলছিলেন সিনিয়র আইটি পেশাদার তমোজিৎ রায়। সমাজের যে অংশের মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন পেয়ে এসেছেন আন্দোলনকারীরা, তমোজিৎবাবুরা তারই প্রতিনিধি।
আর এক পেশাদার সুবর্ণ সাহা বলেন, সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সিনিয়র চিকিৎসকরা তো আছেন। তাও বলব, উৎসবের আনন্দের দিনগুলির মধ্যে কারও যদিও বিপদ ঘটে, তাহলে কী অবস্থা হতে পারে, সেটা ভুক্তভোগীরাই জানেন। আমার অনুরোধ, জুনিয়র ডাক্তাররা অবিলম্বে ইমার্জেন্সি চালু করুন। সমাজকর্মী অচিন্ত্য লাহা বলেন, চিকিৎসা পরিষেবা ইমার্জেন্সি সার্ভিস। আর বিপদের ধনী-দরিদ্র হয় না। মানুষের জন্য ছোটাছুটি করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, পুজোয় কারও মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি হলে কত বড় বিপদ হতে পারে। জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ করব, উৎসবের দিনগুলিতে মানুষের পাশে থাকুন। ইমার্জেন্সি পরিষেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করবেন না। অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত বলেন, ‘আন্দোলন চলুক। কিন্তু মানুষও যেন পরিষেবা পান। তাঁদের কি দোষ? তাঁরা কেন পরিষেবা পাবেন না?’