১০৭ ফুটের দুর্গা দেখতে মহালয়া থেকেই ভিড় সোদপুরের মণ্ডপে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার সবথেকে বড় প্রায় ১০৭ ফুটের দুর্গা বানিয়ে আকর্ষণের কেন্দ্রে চলে এসেছে সোদপুরের শহিদ কলোনি সর্বজনীন শারোদৎসব কমিটি। মহালয়ার রাত থেকেই দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন। প্রতিপদের দুপুরে স্কুল, কলেজ পড়ুয়াদের ভিড়। উদ্যোক্তারা বলছেন, ‘চমক শুধু বড় দুর্গাতেই সীমাবদ্ধ নয়। রাতে মায়াবি আলোর খেলায় মন্ত্রমুগ্ধ হবে আট থেকে আশি।’ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনার ফলে এবছর সবথেকে বড় দুর্গা দেখার সুযোগ পাচ্ছে মানুষ। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, ‘পুলিস ও প্রশাসনের পরামর্শ মেনেই নিরাপত্তার যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে।’
সোদপুরের ধানকল বাস স্ট্যান্ড শহিদ কলোনি সর্বজনীন শারদোৎসব এবার ৭৫ বছরে পা দিয়েছে। এবার তাদের থিম, ‘৭৫ এ একশো’। মণ্ডপের সামনে বিশালাকার দুর্গা। মহিষাসুরের মাথার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন। একেবারে নীচে রয়েছে সিংহ। পাশে রয়েছেন লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও সরস্বতী। ফাইবার কেটে তৈরি সোনালি রঙের প্রতিমা বিস্ময় জাগাবে দর্শনার্থীদের বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। বিটি রোড থেকেও এই দুর্গামূর্তি চোখে পড়বে সবার।
মণ্ডপের অন্দরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিষ্ণুর দশ অবতার। মূল মণ্ডপে মা আসছেন সাবেকি সাজে। একেবারে মাঝে থিমের সাজে দুর্গা সেজেছেন গ্রাম্যবধূর রূপে। আটপৌরে শাড়ি পরে রয়েছেন। কোলে সিংহ, কোলবালিসে হেলান দিয়ে বসে গণেশ। আলাদা বসে কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী। তবে আলোর কারিকুরির মধ্যে প্রতিমা সব সময় ঘুরবে। ঘূর্ণায়মান প্রতিমা থেকে বের হবে আলোর দ্যুতি।
চমক যে শুধু বড় দুর্গাতেই সীমাবদ্ধ তা নয়। সূর্য ডুবলে শুরু হবে মায়াবি আলোর ছটা। প্যান্ডেলের সামনে থাকা বড় দুর্গা সহ তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যের শরীরজুড়ে সহস্র এলইডি। এছাড়া আশপাশের বাড়ি থেকেও মণ্ডপের দিকে ধেয়ে যাবে নানা রঙের আলো। প্রত্যেক মুহূর্তে বদলে যাবে দুর্গার রং। সাত রঙা আলোয় তৈরি হবে মায়াবি আবেশ। আলোর মাধ্যমে মণ্ডপে ফুটে উঠবে মহিষাসুর বধের চিত্র। আলো ও শব্দজাদুতে কম্পন অনুভব করবেন দর্শনার্থীরা।