মুখোমুখি মনোরঞ্জন – এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার
তিনি দলিত লেখক, শুধু তাই নয়, চরম প্রতিকূলতার মধ্যে থেকে উঠে এসে আজ তাঁর লেখা সমাদৃত হচ্ছে বিশ্ব দরবার। বাংলার সেই প্রান্তিক কলমচি মনোরঞ্জন ব্যাপারী। গতবছরই দক্ষিণ এশিয়ার সাহিত্যের সব থেকে ‘ওজনদার’ পুরস্কার, ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ লক্ষ টাকার ডিএসসি প্রাইজের তালিকার লংলিস্টে জায়গা পেয়েছিল ওনার লেখা উপন্যাস ‘বাতাসে বারুদের গন্ধ’র ইংরেজি অনুবাদ ‘দেয়ার্স গানপাউডার ইন দি এয়ার’।
যাদবপুর স্টেশন চত্বরে একসময় রিক্সা চালাতেন তিনি। অপরাধ জগতেও হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। শেষে নকশাল আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে যোগদান, জীবন তাঁকে প্রতিনিয়ত যেন পরীক্ষা নিয়ে গিয়েছে। একসময় ঠাঁই হয়েছিল জেলখানায়। আর সেখান থেকেই বদলে গেল তাঁর জীবনের গতিপথ।
মনোরঞ্জন ব্যাপারীর মুখোমুখি হল দৃষ্টিভঙ্গি।
প্রঃ যার কখনো স্কুলে যাওয়া হয়নি, সংশোধানাগারেও কেটেছে বেশ খানিকটা সময়, তিনি ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছেন ২১ টি বই। তিনি দলিত লেখক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। যখন আমরা ভাবি আর কিছু হওয়ার নেই, তখন তিনি একটি সরকারি চাকরিও পেয়েছেন। এ বিষয়ে কি বলবেন?
মনোরঞ্জন ব্যাপারী: আমাকে নতুন চাকরি দেওয়া হয়নি, আমি ‘৯৭ সাল থেকেই চাকরি করছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত, মাস এডুকেশন দপ্তরের অন্তর্গত হেলেন কেলার বধির বিদ্যালয়ে কুক হিসেবে কাজ করছিলাম। শারীরিক কারনে কারণে, আমার প্রেসার, সুগার আছে, দুই হাঁটু রিপ্লেসমেন্ট হয়েছে, আরো কিছু সমস্যা আছে। আমি সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম কোন হালকা কাজে দিতে। এত কঠিন কাজ আমার করা সম্ভব হচ্ছে না।
মেডিক্যাল বোর্ডও জানিয়েছিল মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে এতো কঠিন কাজ দেওয়া উচিৎ না। শরীরে ক্ষতি হতে পারে। আমি একবার মাথা ঘুরে গরম জলের কড়াইয়ে পড়ে যাই, সারা শরীর পুড়ে যায়। ৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। লেখক হিসেবে আমি কোন সুযোগ সুবিধে চাই নি। ৬-৭ বছর ধরে বহু ছোটাছুটির পরও, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কানে কথাটা পৌঁছনোর মতো কেউ ছিল না। ফাইল পড়ে ছিল, ধুলো জমছিল।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শোনার সাথে সাথেই ভেবেছেন, এই মানুষটির জন্যে কিছু করা দরকার, উনি উদ্যোগ নিয়েছেন এবং তারপরে আমার সমস্যার সমাধান হয়েছে। রান্নার কাজ থেকে সরে একটি লাইব্রেরীতে আপাতত আমি যুক্ত হয়েছি। নতুন কোন চাকরি আমাকে দেননি, এই বার্তাটা মানুষের কাছে যাওয়া দরকার।
প্রঃ দীর্ঘদিন ধরে আপনি, সরকারি কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন, রান্নার কাজ করতেন, এটাও দেখা গেছে আপনি ১৫০ লোকের রুটি, ২০ কেজি চালের ভাত রান্না করেছেন, একটা সময় রিক্সাও টেনেছেন, আবার সেই হাতেই এতগুলো সৃষ্টি করেছেন। অনুপ্রেরণা কোথা থেকে পান?
মনোরঞ্জন ব্যাপারী: প্রথমত আমার নিজের জীবন থেকে। একটা অসহনীয় জীবন যাপন করেছি। আমাদের অমানবিক সমাজের জন্যে এই জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছি। এভাবে জীবন যাপন করার কথা আমার ছিল না। সমাজের বিধি বিধান আমাকে বাধ্য করেছিল। এই বিধি বিধানের বিরূদ্ধে আমার জিহাদ ছিল।
লেখাপড়া যখন জানতাম না, তখন জিহাদ বা ক্রোধের প্রকাশ ভঙ্গি অন্যরকম ছিল। বোম মেরে দিলাম। যখন লেখালেখির সাথে যুক্ত হলাম, যখন অক্ষর জ্ঞান আয়ত্ত করতে পারলাম, তখন থেকে লেখালেখির মাধ্যমে এই ব্যবস্থার বিরূদ্ধে আমি বিদ্রোহ এতোকাল করে গেলাম। এটাই আমার লেখার প্রেরণা।
এই সমাজকে ভেঙ্গে নতুন করে গড়তে হবে। মানুষের বসবাসের উপযুক্ত করে তুলতে হবে। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং সম্মান সমস্ত মানুষ পাবে। এক শ্রেনীর মানুষ পাবে, আর এক শ্রেনীর মানুষ পাবে না, এই বিধি, এই বিধান চলবে না। সেটাই আমার লেখার প্রেরণা।
প্রঃ আপনার ছোটবেলা যেখানে কেটেছে সেই দন্ডকারণ্যের প্রসঙ্গ বা মহাশ্বেতা দেবীর সাথে আপনার আলোচনা, সেসব ইউটিউবে দেখা গেছে। এই মুহূর্তে লেখক হিসেবে আপনার কি মনে হয় সমাজটা ঠিক কতোটা বদলানো দরকার?
মনোরঞ্জন ব্যাপারী: বদলানো পুরোপুরি দরকার। আমূল পরিবর্তন দরকার। সমাজে এমন কোন জায়গা দেখতে পাচ্ছি না, যেই জায়গাটিকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার। প্রতিটা জায়গাতেই এমন অবস্থা করে রাখা হয়েছে, যেখানে একদল মানুষ নিস্পেষির হতে থাকবে।
আর যারা নিষ্পেষণ করছে, তারা সমাজের সর্বচ্চ শিখরে গিয়ে বসবে, সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। অন্যায় করবে, কিন্তু আইন কানুন তাদের কিছু করতে পারবে না। এর আমূল পরিবর্তন দরকার বলে আমি মনে করি।
প্রঃ মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার ভালো লাগছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা হলে আপনি কি বলবেন?
মনোরঞ্জন ব্যাপারী: আমার একবার দেখা হয়েছিল দিল্লি এয়ারপোর্টে। তখন প্লেনে ওঠার তাড়া ছিল তাই নমস্কার করতে পেরেছিলাম শুধু, কথা হয়নি। দেখা হলে প্রথমে আমি বলব আমি কৃতজ্ঞ দিদি। এটার জন্যে আমি নিজেকে অপরাধী মনে করি যে, আমার খবরটা ওনার কাছে পৌঁছে দিতে পারিনি। পারলে অনেক আগেই সমাধান হয়ে যেত।
এমন কোন বড় সমস্যা ছিল না আমার। উন্নতি চাই নি, অফিসার হতে চাই নি। শুধু রান্নার আগুনের সামনে থেকে সরতে চেয়েছিলাম। উনি বিবেচনা করেছেন, আমার মতো মানুষকে লাইব্রেরীতে দিলে আমার পঠন পাঠন, লেখায় সুবিধা হবে। এজন্যে আমি ওনাকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, দলিতদের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণ সম্পর্কে কি মত আপনার?
মনোরঞ্জন ব্যাপারী: কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের যেসব রাজ্যে সরকার আছে, সেখানে দেখা যায় দলিতদের প্রতি, সংখ্যালঘুদের প্রতি, নারীদের প্রতি অত্যাচার অনেক বেড়ে গেছে। পশ্চিমবাংলায় এখনো তা আসেনি। কিন্তু শাসন ক্ষমতা তাদের হাতে এলে অচিরেই তা শুরু হবে। আমাদের চিন্তাশক্তি ভোঁতা হয়ে গেছে। যেই সময় লোকসভায় এই দল এই রাজ্যে ১৮টা আসন পেল, তার আগে ৬টা রাজ্যে হেরেছে। যারাই এর শাসন দেখেছে, তারাই রিজেক্ট করেছে।
কথায় বলে, “যার রাঁধা খাইনি সে বড় রাঁধুনি, যাকে দেখিনি সে বড় সুন্দরি”। পশ্চিমবঙ্গের যে কটা রাজনৈতিক দল তাদের মধ্যে ভালো গুন, খারাপ গুন সবই আছে, ধোয়া তুলসীপাতা কেউই না। তৃণমূলও না। কিন্তু তাদের বাংলা, বাঙালি, পশ্চিমবঙ্গের প্রতি আক্রোশ নেই। অনেক ভালো কাজ করতে চেয়ে অনেক সময় পারেনি। অনেকগুলো ভালো কাজ করেছে। অনেকগুলো পারেনি। সেটা নিয়ে সমালোচনা অবশ্যই প্রাপ্য।
বিজেপি দলটার গোটা ভারতবর্ষের জন্য এমন কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেই। যেটাকে প্রশংসা করা যায়। নোটবন্দীর সময় কতো লোক মরে গেছে। করোনার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের সাথে কি হয়েছে আমরা জানি। দলিতদের ওপর অত্যাচার, চটি কেন পায়ে দিয়েছে, গাড়ি কেন ছুঁয়েছে, পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। কে কি খাবে সে কারণে মেরে ফেলছে। সেই দলটাকে যারা সমর্থন করছে তারা নিজেদের মৃত্যু গহ্বর নিজেরা খুঁড়ছে।
তৃণমূলের বিরূদ্ধে সমালোচনা করব। কিন্তু আজকে যদি তৃণমূলকে হারিয়ে দিই, তাহলে যারা আসছে তারা যে কি ভয়ঙ্কর, তাদের আর হারাতে পারবে না। মমতা বন্দোপাধ্যায়ে বিরূদ্ধে এখনো পথে নেমে স্লোগান দেওয়া যায়। যাদের আনছ, তারা যদি আসে, তুমি তাদের বিরূদ্ধে একটা কথা বলতে পারবে না। ভারভারা রাও, শুধা ভরদ্বাজকে দেখ। তাদের বিরূদ্ধে একটা কথা বললে তোমাকে জেলখানায় পচিয়ে দেবে। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরূদ্ধে বলে তো মিছিল বের করা যাচ্ছে। মানুষকে ভাবতে হবে।
যতবার সরকার বদলে যাকেই আনা হচ্ছে মানুষ সন্তুষ্ট না। এরপর যাকে আনছ সে যে কতোটা খারাপ তুমি তা বলারই সুযোগ পাবে না। গোবলয়ের কোন রাজনৈতিক দল বাংলাকে ভালোবাসে না। এই দেশভাগের জন্যে কংগ্রেস দায়ী। খুব পরিকল্পিতভাবে দেশভাগ করেছিল এরা। বাঙালির শক্তি ক্ষয় করার জন্যে। কংগ্রেসও ধোয়া তুলসীপাতা নয়। মানুষকে বুঝতে হবে।
মমতা বন্দোপাধ্যায়কে, তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাচ্ছি না। হারছি আমি নিজে। যাকে জেতাচ্ছি, আর কোনদিন আমাকে জেতা তো দূরের কথা ঐ স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেবে না। সচেতন হওয়া দরকার। তা না হলে ভাগ্যে যা আছে হবে, আমরা কি করতে পারি? আমরা তো বহুবছর গলায় রক্ত তুলে চিৎকার করে বুঝিয়েছি তাদের। এখন মানুষ যা চায়, তাই হবে।
প্রঃ সচেতনার অভাব কেন? কেন ভাবতে পারছে না মানুষ?
মনোরঞ্জন ব্যাপারী: যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল মানুষকে সচেতন করার, বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদী তারা করেনি। ৩৪ বছর এখানে বাম সরকার ছিল। বামপন্থীরা যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক হবে, সমাজ পরিবর্তনের লড়াইটা তারা লড়বে। তারা মানুষের কাছে সেই মতাদর্শটা নিয়েই যেতে পারল না। তারাও আর পাঁচটা রাজনৈতিক দলের মতো ভোটে জেতা, ক্ষমতার কেন্দ্রে পৌঁছনোর কথাই ভেবে গেছে। যদি তারা মানুষকে যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক করত, তাহলে এরকম হত না। যদি তুমি বিপ্লব না কর, প্রতি বিপ্লব হবে। এক জায়গায় সমাজটা তো দাঁড়িয়ে থাকবে না। প্রতি বিপ্লব আসন্ন, সব কিছু দ্রুত বদলে যাবে। আবার সমাজটা কয়েকশো বছর পিছনে পিছিয়ে যাবে।
গরুর দুধে সোনা খোঁজা হচ্ছে, গোমূত্রতে সমস্ত রোগের ওষুধ খোঁজা হচ্ছে। ন্যাশনাল টিভি চ্যানেলে বসে একজন বলছেন, যে নিজের নামের আগে ডক্টরেট লেখেন, বলছেন যে গোবর নাকি কোহীনুরের থেকেও দামি। আমরা শুনছি। ওরা আমাদের নির্বুদ্ধিতার পরীক্ষা নিচ্ছে। যখন দেখছে ওদের কথায় আমরা মাথা ঝাকাচ্ছি, ওরা বুঝে যাচ্ছে এরা নির্বোধ, এদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া সুবিধা।
আমরা যদি প্রশ্ন করতে পারতাম, যারা বলছে, তারা কেন ক্যান্সারে ভুগছে? মানুষের চিন্তা ভাবনার মান উন্নত হয়নি। রাজনীতিবিদ এবং শিল্পী সাহিত্যিকদের মানুষের প্রতি যে দায়বদ্ধতা ছিল, সেটা তারা যথাযথ পালন করেনি। এটা একটা দিক। দ্বিতীয় দিকটি আমি আরো জোড় দিয়ে বলব। একটা শুয়োপোকার ভেতরে এই ইচ্ছেটা থাকে আমি প্রজাপতি হব। প্রকৃতি তাকে সহয়তা করে। একটা ডিমের ভেতরের প্রাণ ভিতর থেকে ঠোকা মেরে বাইরের আবরণটা ভাঙে। প্রথমে তার ইচ্ছেটা থাকে আমি বাইরে বেরোব।
মানুষ যদি নিজের কাজের বিশ্লেষণ করতে পারত, তাহলে আর এই পাগলামিগুলো করত না। কিন্তু সে নিয়ে সে ভাবছে না। যে তারকেশ্বরে বাঁকে করে জল নিয়ে যায়। তাকে যদি জিজ্ঞেস করা যায়, তুমি এই যে জল নিয়ে ২৫ কিলোমিটার এলে তোমার জীবনে কি পরিবর্তন হল? সে নিজেও জানে না। হুজুগ, সবাই যাচ্ছে, সেও যাচ্ছে। ঐ লোকটাই একটা অসুস্থ লোক রাস্তায় পড়ে থাকলে তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাবে না।
আমাকে দেখ, আমি কোথায় ছিলাম এখন একটা ভালোবাসা, শ্রদ্ধার জায়গা আদায় করেছি লড়াই করে। তুমি না লড়লে সমাজ তোমাকে কিচ্ছু দেবে না। তুমি নিজের উন্নতির জন্যে চেষ্টা কর, তুমি অবশ্যই হতে পারবে। লড়াইটা তুমি নিজের সাথে নিজে জেত, সমাজ তোমাকে জায়গা দিতে বাধ্য হবে।
প্রঃ জীবন মানে আপনার কাছে কি?
মনোরঞ্জন ব্যাপারী: জীবন মানে আমার কাছে সংগ্রাম, লড়াই। বেঁচে থাকার জন্যে অদম্য জেদ। সৎ পথে থাক, অন্যায় সহ্য করোনা, নিজে অন্যায় করো না। নিজের ওপর অন্যায় হলে আগুন হয়ে জ্বলে ওঠ, অন্যের ওপর হলে সাধ্য মতো পাশে দাঁড়াও। চলতে থাকার নাম জীবন। স্থবির হয়ে যাওয়া, অচল হয়ে যাওয়া, থেমে যাওয়া সেটা মৃত্যু। নিজের মতাদর্শকে আঁকড়ে ধরে বাঁচাই জীবন। মৃত্যু দুরকম। এক শারীরিক মৃত্যু, আর এক নৈতিক মৃত্যু।
আমি কিছু লোককে দেখেছি কিছু বছর আগে তারা একরকম কথা বলত, এখন কিছু সুযোগ সুবিধে, পদ প্রাপ্তির জন্যে উল্টো কথা বলছে। নৈতিক দিক থেকে তারা মারা গেছে। বাঁচতে আমরা পৃথিবীতে কেউ আসিনি। চিড়িয়াখানার কচ্ছপের মতো কেতরে কেতরে সাড়ে তিনশো বছর বাঁচবো? না ভগত সিং-এর মতো ২০-২২ বছর বাঁচবো? সেটা নির্ভর করছে আমাদের ওপর। এটাই জীবন।