সহকর্মী নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মধ্যেই এবার সহকর্মী নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাট মহকুমার মুরারই ব্লকের চাতরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার জনৈক চয়ন মুখোপাধ্যায় ডিউটিতে থাকাকালীন ধর্ষণ করেন বলে নির্যাতিতা নার্স শনিবার লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, নির্যাতিতার বয়ান নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক আপাতত ফেরার। তাঁকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনায়।
শনিবার লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা নার্স জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসক প্রায়ই তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে তাঁকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন ওই চিকিৎসক। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে সরকারি চিকিৎসক হিসাবে চাতরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেন কোলঘাটের বাসিন্দা ওই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। নির্যাতিতা নার্সও গত সাত বছর ধরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই কর্মরত। দু’জনেই বিবাহিত। শনিবার নার্স লিখিতভাবে মুরারই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিজিৎ মণ্ডলকে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানান। জানা গিয়েছে, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতিতা নার্স ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দেকে সঙ্গে নিয়ে রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সূত্রের খবর, গত তিন বছর ধরে নার্সের সঙ্গে চিকিৎসকের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ঘটনা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাটের স্থায়ী বাসিন্দা ওই চিকিৎসক মুরারইয়ে ভাড়া থাকেন। সেখানেও হানা দিয়েছে পুলিশ। কোলাঘাটে নিজের বাড়ি থেকে ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।