বর্গিহানার ভয়ে মল্লরাজাদের পরামর্শে পটচিত্রে দুর্গাপুজো আরম্ভ হয়েছিল আয়কাত পরিবারে

বিষ্ণুপুরের কয়েকশো বছরের পুরনো আয়কাত পরিবারের দুর্গাপুজো এখনও পটে হয়। একসময় বর্গিহানার জেরে ভয়ে মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা গড়তে আসেননি। তাই মল্লরাজাদের পরামর্শে পটচিত্রে পুজো আরম্ভ হয়েছিল।

October 7, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিষ্ণুপুরের কয়েকশো বছরের পুরনো আয়কাত পরিবারের দুর্গাপুজো এখনও পটে হয়। একসময় বর্গিহানার জেরে ভয়ে মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা গড়তে আসেননি। তাই মল্লরাজাদের পরামর্শে পটচিত্রে পুজো আরম্ভ হয়েছিল।

বিষ্ণুপুর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আয়কাতদের তিনটি পরিবার রয়েছে। ঠাকুরদালানে মল্লরাজাদের মতো বলিনারায়ণী প্রথা মেনে পটে পুজো হয়। এই পরিবারের সদস্য স্বরূপকুমার আয়কাত বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা পার্সি ছিলেন। একসময় মল্লগড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। সেসময় আমাদের এক পূর্বপুরুষ মল্লরাজাকে কর আদায়ে সাহায্য করেছিলেন। সেই সুবাদে মল্লরাজা আমাদের পরিবারকে বিষ্ণুপুর, সোনামুখী ও ছাতনায় কয়েকশো বিঘা জমি দান করেন। আগে প্রতিমা গড়েই পুজো হতো।

বিষ্ণুপুরে বর্গী হানার সময় মৃৎশিল্পীরা ভয়ে প্রতিমা গড়তে আসেননি। তখন মল্লরাজার পরামর্শে পটে আঁকা দেবীর পুজো হয়। এখনও সেভাবেই পুজো হয়ে আসছে। এই পরিবারের বধূ রূপা আয়কাত বলেন, আমার শাশুড়ির দেখানো সমস্ত নিয়মকানুন আমি শিখে নিয়েছি। কলেজপড়ুয়া সুপর্ণা আয়কাত বলেন, পুজোয় আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবীরা আসে। দারুণ আনন্দ হয়।

পরিবারের সদস্য অরূপ আয়কাত বলেন, মল্লরাজাদের আয় ও কর দেখাশোনা করার জন্য আমাদের পদবি ‘আয়কাত’ হয়ে যায়। আমাদের তিনটি পরিবার বিষ্ণুপুরে থাকে। বাকিরা দেশবিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। রাজাদের দেওয়া জমি এখন আর আমাদের দখলে নেই। তাই বেশি আড়ম্বর না থাকলেও নিষ্ঠায় ত্রুটি রাখা হয় না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen