রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

চার্জশিটে না-খুশ জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্নে ক্ষিপ্ত CBI

October 15, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: আন্দোলনকারী জুনিয়ররা না-খুশ, দাবির চাপ যত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সিবিআইয়ের ক্ষোভ ও অসন্তোষ। কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, বিচার ব্যবস্থা কোনও জাদুদণ্ড নয়। চাইলেই কাউকে ফাঁসিতে ঝোলানো যায় না। তদন্তের প্রতি আন্দোলনকারীদের আস্থা দেখা যাচ্ছে না। তারই প্রভাব পড়ছে সিবিআইয়ের উপর। কেন চার্জশিটে শুধু সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের নাম? কেন অন্য কারও নাম নেই? প্রশ্ন তুলে তোলপাড় করা হচ্ছে। সিবিআইয়ের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করতে তৎপরতা বেড়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। সোমবার তাঁরা রাজভবন অভিযান করেছেন। রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দিয়ে এসেছেন। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ক্ষিপ্ত সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের বক্তব্য, তদন্ত কীভাবে করতে হয় তাঁরা জানেন। চাপ দিলেই চার্জশিটে কারও নাম ঢোকানো যায় না। কাউকে ফাঁসিতে ঝোলানোও যায় না।

চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, খুন ও ধর্ষণ সঞ্জয়ের নামই পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্ত সিভিকের বিরুদ্ধে কী কী তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, কারা ঘটনা নিয়ে বয়ান দিয়েছেন, সেটাও স্পষ্ট উল্লেখ করেছে তারা। সিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। তৃতীয় কোনও পক্ষের চাপ মানতে নারাজ তারা।

সিবিআই অবশ্য এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। নজরে রয়েছে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের বিষয়টিও। ষড়যন্ত্র হয়েছে, সে কথা বুঝলেই হবে না। নিখুঁত তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে হবে প্রমাণ করতে। ধর্ষণ-খুনে কারও জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ মিললেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন সিবিআই অফিসাররা। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে টালা থানার তৎকালীন ওসি ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। এক তদন্তকারীর বক্তব্য, কোনও ঘটনায় একাধিক সন্দেহভাজনের নাম উঠে আসে। যে বা যাঁরা এগুলি পাঠান, তাঁদের নিজেদের স্বার্থ থাকে। আরজি কর কাণ্ডেও বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু নাম এসেছে। খোঁজ করে দেখেছি, ঘটনায় কোনও ভূমিকাই নেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের! ডাক্তারদের কথায় ধরপাকড় করলে আদালতে সিবিআইয়ের মুখ পুড়বে। কারণ, প্রমাণ করার দায়টা তদন্তকারী সংস্থার। সিবিআই স্পষ্ট বলছে, প্রমাণ যেমন হাতে আসবে, সেইমতোই এগবে তারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Protest, #junior doctors, #CBI, #chargesheet

আরো দেখুন