হচ্ছে টা কী? বিভাগে ফিরে যান

লা নিনার দাপটে রেকর্ড ঠান্ডা পড়তে পারে এবছর?

October 19, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এ বছরের মতো বর্ষা বিদায় নিয়েছে দেশ থেকে। হেমন্তের শুষ্ক আবহাওয়া মানেই শীতের আমেজের অপেক্ষা। কদিন বাদেই কালীপুজো, তাই স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশ্ন, ‘শীতকাল কবে আসবে’। দিল্লির মৌসমভবন IMD জানিয়েছে, এ বছর দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। এখন প্রশ্ন হল, এ বছর শীত কেমন পড়তে পারে? সেই পূর্বাভাসও দিয়েছে IMD।

ভারতে বর্ষায় লা নিনার ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে

IMD জানাচ্ছে, এ বছর কড়া শীত পড়তে পারে উত্তর ভারতে। যাকে বলে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। অন্যবারের চেয়ে বেশি ঠান্ডা। কারণ লা নিনা পরিস্থিতি হয়তো অক্টোবরের শেষ, নভেম্বরের শুরু থেকেই হাওয়ায় বদল আনবে। যার ফলে, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে কড়া ঠান্ডা পড়তে শুরু করে দেবে। ভারতে বর্ষায় লা নিনার ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। লা নিনা প্রভাব থাকলে সেই বছরে ভারতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

লা নিনা (La Nina) কী?

লা-নিনা শব্দের অর্থ শিশু কন্যা (Little Girl)। এটি এল-নিনোর বিপরীত অবস্থা। বায়ু সঞ্চলনের স্বাভাবিক অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরে অক্ষরেখা বরাবর বায়ু পূর্ব দিকের উচ্চচাপ বলয় থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়। এই অবস্থায় সমূদ্রের জলের উষ্ণতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেলে পেরু-চিলি উপকূল বরাবর যে শীতল সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হয় তাকে লা-নিনা বলে। লা-নিনা প্রবাহের স্থায়িত্ব বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৬ মাস থাকে। তবে কখনও কখনও তা ২ বছর যাবৎ চলতে পারে।

‘ ‘অক্টোবর-নভেম্বরে লা নিনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৭১ শতাংশ। যার জেরে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা নেমে যেতে শুরু করবে। সুতরাং শীতের মাসগুলিতে হাড় কাঁপানো ঠান্ডাই পড়বে।’

মৌসম ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবার উত্তর এবং মধ্য তথা পশ্চিম ভারতের পাশাপাশি বাংলাতেও ‘শীতল দিন’(Cold Day) ও ‘শৈত্যপ্রবাহ’(Cold Wave) দুটিই বেশি দেখা যাবে। কোনও জায়গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে থাকে এবং একই সঙ্গে যদি সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকে, তা হলে তাকে ‘শীতল দিন’ বলা হয়। আবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেলে তাকে ‘শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। গত শীতে উত্তর ভারতে একসঙ্গে দুই পরিস্থিতিই দেখা গিয়েছিল। এবার সেই ছবি ধরা পড়তে পারে বাংলার বুকেও। বিশেষ করে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার ক্ষেত্রে এই ঘটনা দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে হয়তো দেখা যাবে, টানা ২-৩ সপ্তাহ ধরেই ‘শীতল দিন’ ও ‘শৈত্যপ্রবাহ’ চলছে। একই সঙ্গে মৌসম ভবনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, বাংলায় এবার শীতে বৃষ্টির সম্ভাবনাও কম থাকছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Weather forecast, #cold wave, #IMD, #Weather Update, #Cold day, #La Nina

আরো দেখুন