ফের রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল, ডাক্তারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফের রোগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল। চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। মৃত যুবকের নাম আদিত্য মহন্ত। তিনি বালুরঘাট খাসপুর এলাকার বাসিন্দা। যুবক দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। পুজোয় বাড়িতে এসেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকেল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। গভীর রাতে মারা যান যুবক।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক সময়ে না আসায় ও ঠিক মতো পরিষেবা না পাওয়ায় আদিত্যর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলেও অক্সিজেন পাওয়া যায়নি। এছাড়া, রোগীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য সুপার স্পেশালিটি ওর্য়াডে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য চাওয়া হলে তা পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ।
রাতেই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবেন। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মেডিক্যাল কলেজ নেই। বাসিন্দাদের ভরসা বলতে জেলা হাসপাতাল। কিন্তু সেখানে বারবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ সামনে আসছে। মাস তিনেক আগে ৮ বছরের নাবালকের মৃত্যুতে জেলা হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। সম্প্রতি বিজেপির এক নেত্রীর চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে মৃত্যুরে অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল। বারবার একই অভিযোগ ওঠায় পুজোর আগে হাসপাতালে বৈঠক করেছিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস। তিনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিতরেই একটি ওয়েটিং হল তৈরির নির্দেশ দেন। যার উদ্দেশ্য ছিল, কল এলেই যাতে চিকিৎসকরা দ্রুত রোগীর কাছে পৌঁছতে পারেন। তারপরেও গাফিলতির জেরে মৃত্যুর অভিযোগে অস্বস্তি বাড়ছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের।