বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে এই কথাগুলি জানতেন?

September 7, 2023 | 2 min read

পৃথিবীর যাবতীয় কবিতার আদিমতম প্রেরণা হল নারী। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার সেই নারী ছিল নীরা। সুনীলের প্রেম ছিল নীরা। পৃথিবীর আর কোন কবির একটি মাত্র নাম ব্যবহার করে এত কবিতা লেখার ইতিহাস আছে বলে জানা  যায় না। নীরা কি সুনীলের শুধু কল্পনার মানুষ নাকি জীবন্ত মানুষ এই নিয়ে সংশয় আছে।

সুনীল আধুনিক বাংলা কবিতায় জীবনানন্দ পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, নীললোহিত, সনাতন পাঠক, নীল উপাধ্যায় ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।

জেনে নিন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে কিছু না জানা কথাঃ

  • মাত্র চার বছর বয়সে তিনি কলকাতায় আসেন। ১৯৫৩ সাল থেকে তিনি কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা  পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন।
  • ১৯৫৮- এ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একা’ এবং ‘কয়েকজন’ এবং ১৯৬৬ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘আত্মপ্রকাশ’ প্রকাশিত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হলো, ‘আমি কিরকম ভাবে বেঁচে আছি’, ‘যুগলবন্দী’, ‘হঠাত্‍ নীরার জন্য’, ‘শ্যামবাজারের আড্ডা’, ‘অর্ধেক জীবন’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘প্রথম আলো’, ‘সেই সময়’, ‘ভানুও রানু’, ‘মনের মানুষ’।  
  • জন্ম বাংলাদেশে হলেও তিনি বড় হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। পড়াশোনা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ব্যাংকের পিয়নের চেয়ে স্কুল মাস্টারের বেতন ছিল কম। সুনীলের মা কখনোই চাননি ছেলে শিক্ষকতা করুক। পড়াশোনা শেষ করে কিছুদিন চাকরি করেছিলেন তারপর থেকে সাংবাদিক হিসেবে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান মি পলেন কলকাতায় এলে সুনীলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয় হয়। সেই সূত্রে মার্কিন মুলুকে গেলেন সুনীল, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে কিছুদিন কাজ করেন তিনি।
  • নীললোহিত নাম নিয়ে সুনীল নিজের একটা পৃথক স্বত্বা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নীললোহিতের সব কাহিনীতেই নীললোহিত কেন্দ্রীয় চরিত্র।
  • নারীদের নিয়ে বলেছিলেন, ‘নারীদের ডিকশনারিতে সন্তুষ্টি বলে কোন শব্দ নেই’।
  • প্রেমের ক্ষেত্রে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার ভালোবাসার কোন জন্ম হয় না, কোন মৃত্যু হয় না, কেননা আমি অন্যরকম ভালোবাসার হীরের গয়না শরীরে নিয়ে জন্মেছিলাম’।
  • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বেশ কিছু গল্প উপন্যাসের কাহিনী চলচ্চিত্র রূপায়ন হয়েছে। এর মধ্যে সত্যজিত্‍ রায় পরিচালিত ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া কাকাবাবু চরিত্রের চার টি কাহিনি  সবুজ দ্বীপের রাজা, কাকাবাবু হেরে গেলেন, মিশর রহস্য, ইয়েতি অভিযান চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। হঠাত্‍  নীরার জন্য ওনার লিখিত আরেকটি ছবি।
  • ২০০২ সালে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা শহরে শেরিফ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে আনন্দ পুরস্কার এবং ১৯৮৫ সালে সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।  
  • ২০০৩ সালের ৪ এপ্রিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতার গণদর্পণ কে সস্ত্রীক মরণোত্তর দেহ দান করেন। তবে পুত্র সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ইচ্ছেতে তাঁর দেহ দাহ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যবস্থাপনায় ২৫অক্টোবর ২০১২ সালে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।   
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Sunil Ganguly

আরো দেখুন