ডানা-র সঙ্গে মিল রয়েছে যশের! আশঙ্কা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২১ সালের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-র কারণে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। যশ-র গতিপ্রকৃতির সঙ্গে মিল রয়েছে ‘ডানা’-র। ওড়িশা উপকূলে যে জায়গায় ‘যশ’ আঘাত এনেছিল, তার কাছাকাছি কোনও জায়গাতেই ‘ডানা’র ল্যান্ডফল হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। আছড়ে পড়ার কিছু সময় আগে অবধি পূর্বাভাস ছিল, কেন্দ্রস্থল বা ‘আই’ ভদ্রক জেলার ধামড়া সংলগ্ন কোনও জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধামড়া থেকে কিছুটা দূরে বালেশ্বরের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে উপকূল অতিক্রম করে ‘যশ’। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র স্থলভাগে ঢোকার সময় কিছুটা অভিমুখ পরিবর্তন হয়। মনে করা হচ্ছে, ডানা-র ক্ষেত্রেও তেমনটা ঘটতে পারে।
‘ডানা’র তুলনায় বেশি শক্তিশালী ছিল যশ। আছড়ে পড়ার সময় ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৫৫ কিলোমিটার হয়েছিল। ‘ডানা’ তীব্র মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূল অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঝোড় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের মতে, দুই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির মধ্যে পার্থক্য নেই। আমফান সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। তবে উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে সেটির তীব্রতা কিছুটা কমে যায় এবং অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। চলতি বছর মে মাসে আসা ‘রেমাল’ ঘূর্ণিঝড়ের মতোই ডানার তীব্রতা থাকতে পারে বলে মত আবহাওয়াবিদদের।