তালডাংরা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রাজ্যে ভোটের দামামা। ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। এই ৬টি আসনের মধ্যে ১টি ছিল বিজেপির দখলে। বাকি ৫টি ছিল তৃণমূলের। উপ-নির্বাচনে সবক’টি আসনে জয় ছিনিয়ে এনে তৃণমূল দাবি করতে চায়, আরজি কর কাণ্ডের কোনও প্রভাব নেই জনমানসে। উলটো দিকে, তৃণমূলের আসনে কামড় বসিয়ে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চায় বিজেপি।
ফলে এবারের উপ-নির্বাচনে একেবারে সাধারণ নির্বাচনের আমেজ। সেকথা আঁচ করেই উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের তোড়জোড় শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচনে তালডাংরা কেন্দ্রে ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। রাজ্যের অন্যান্য কেন্দ্রের তুলনায় তালডাংরায় বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। জঙ্গলমহলের বিধানসভা কেন্দ্র হওয়ায় অন্যান্য জেলার তুলনায় বেশি বাহিনী বাঁকুড়ায় আনা হচ্ছে বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জেলাশাসকদের (যেসব জেলায় উপ নির্বাচন রয়েছে) চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, সেব্যাপারে বিস্তরিত উল্লেখ রয়েছে। কোনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটিমাত্র বুথ থাকলে হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তিন বা চারটি বুথ থাকলে এক সেকশন বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সেকশনপিছু মোটামুটি চারজন করে জওয়ান থাকে। সর্বোচ্চ সাত বুথ বিশিষ্ট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সর্বাধিক দুই সেকশন বাহিনী বা আটজন জওয়ান থাকবে। এছাড়াও ক্যুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) স্ট্রং রুম পাহারা সহ ভোট সংক্রান্ত অন্যান্য ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে প্রচার চলাকালীন বাহিনী এলাকায় রুট মার্চ করবে কি না সেব্যাপারে আধিকারিকরা নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এক একটি কোম্পানিতে মোটামুটি ৮০-১২০ জন করে জওয়ান-আধিকারিক থাকে। তবে পরিস্থিতি বুঝে তার থেকে কম জওয়ানও মোতায়েন করা হতে পারে। ফলে তালডাংরা উপনির্বাচনের জন্য প্রায় দেড় হাজার জন জওয়ান-আধিকারিক মোতায়েন থাকবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কোম্পানি পিছু একজন করে ‘কমান্ডার’ বা শীর্ষ আধিকারিক থাকবেন। তিনিই বাহিনী পরিচালনা করবেন। তবে স্থানীয় থানার পুলিস তাঁদের সাহায্য করবে।