আরামবাগের ঐতিহ্যপূর্ণ পাড়েরঘাট শ্মশান কালীর পুজোর কাহিনি জানেন?

শ্মশানে প্রতিষ্ঠা করে পুজো করলে সবার মনস্কামনা পূরণ হবে। তারপর তিনি মন্দিরে কালী মায়ের মূর্তি বানিয়ে পুজো শুরু করেন।

October 29, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরামবাগ শহরের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যপূর্ণ কালীপুজো হল শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাড়েরঘাট শ্মশান কালীর পুজো। কথিত আছে, সকলের মনস্কামনা পূরণ করেন পাড়েরঘাট শ্মশান কালী। প্রায় ১৩০ বছর বা তারও বেশি আগে আরামবাগ একটি প্রত্যন্ত গ্রাম ছিল। তখন আরামবাগের মধ্যে এটিই একমাত্র বড় শ্মশান ছিল। করুণা হাঁড়ি নামে এক ভিক্ষুক হাতে ত্রিশুল এবং মাথায় বিশাল জটা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতেন। তিনি মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। তাঁকে মা বলেছিলেন, শ্মশানে প্রতিষ্ঠা করে পুজো করলে সবার মনস্কামনা পূরণ হবে। তারপর তিনি মন্দিরে কালী মায়ের মূর্তি বানিয়ে পুজো শুরু করেন।

প্রথমে আট চালায় পুজো করা হত। এখন মন্দির বানানো হয়েছে। এখানে মা দক্ষীণা কালীকা রূপে পূজিতা হন। কালীপুজোর আগের দিন ব্যাঙ্কের লকার থেকে মায়ের সোনার জিভ, সোনার চোখ, সতিহার, কানের, নথ, টিকলি, নপুর বের করে মাকে সাজানো হয়। দ্বারকেশ্বর নদ থেকে ঘট তুলে অমাবস্যায় কালীমায়ের পুজো শুরু হয়। মহানিশিতে মায়ের কাছে ষোলমাছ পোড়া নিবেদন করা হয়। পড়ে ছাগ বলি, আঁখ বলি, ছাঁচি কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। জনশ্রুতি রয়েছে, মা ভীষণ জাগ্রত। মানত করলে সকলেরই মনস্কামনা পূরণ করেন। বহু মানুষ দ্বারকেশ্বর নদে স্নান সেরে দণ্ডি কাটতে কাটতে নদী থেকে মন্দিরে গিয়ে কালীমায়ের পুজো দেন। কেউ কেউ হাত কেটে রক্তও বের করেন। তাঁদের বিশ্বাস, মায়ের কাছে ভক্তি ও নিষ্ঠার সাথে প্রার্থনা করলে মা তাঁদের মনস্কামনা পূরণ অবশ্যই করেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen