কীভাবে সেজে ওঠেন কাটোয়ার খেপি মা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বহু বছর ধরে কাটোয়া শহরের খেপি মা পূজিত হয়ে আসছেন। এই পুজো কে চালু করেছিলেন তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। খেপি মার মূল আকর্ষণ হল তাঁর সোনার গয়না। ভক্তদের দান করা খেপি মার সোনার গয়না পরানো দেখতে মানুষের ঢল নামে মন্দির চত্বরে। প্রায় চার কেজি সোনার গয়নায় সাজেন কাটোয়ার বিখ্যাত খেপি মা। পুলিশি পাহারায় ব্যাঙ্কের লকার থেকে খেপিমার গয়না নিয়ে এসে পুজোর আগের রাতে পরানো শুরু হয়। মন্দিরের গর্ভগৃহে পুলিশ কর্মী ও মন্দির কমিটির নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না সেই সময়ে। পুলিশ কর্মীরা মোতায়েন থাকেন হাই প্রোফাইল মন্দির চত্বরে।
গর্ভগৃহ-সহ গোটা মন্দির চত্বরে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়। গোটা বাংলা সহ ভিন রাজ্য থেকেও কাটোয়ার খেপি মার পুজো দিতে ভক্ত সমাগম হয়। এবার খেপি মাকে চার কেজি সোনা ও পাঁচ থেকে ছ’কেজি রূপার গয়না দিয়ে সাজানো হয়।
কাটোয়া শহরের আরেক বিখ্যাত পুজো হল ঝুপো মা। নিমগাছকেই কালীরূপে বহুকাল ধরে পুজো করে আসছেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রতি বছর পুজোর পর ঝুপো মায়ের মূল্যবান বেনারসি কোনও এক দুঃস্থ কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাকে দেওয়া হয়। ঝুপো মায়ের বেনারসি পরে দুঃস্থ পরিবারের যুবতীকে বিবাহ দেওয়া হয়। জনশ্রুতি রয়েছে, বহু বছর আগে এই এলাকা ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা। একদল ডাকাত জঙ্গলে আস্তানা গেড়েছিল। ডাকাত দলই ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে নিমগাছকে কালীজ্ঞানে পুজো করে ডাকাতি করতে যেত। এই নিমগাছই হয়ে ওঠে বাসিন্দাদের ঝুপো মা। ঝোপ-জঙ্গলে ঘেরা নিমগাছে যেহেতু দেবী রূপে ডাকাত সর্দারদের দেখা দিয়েছিলেন সেই কারণে দেবীর নাম ঝুপো মা। এখন নিমগাছের চারপাশে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে মন্দিরের মতো তৈরি করা হয়েছে। এক রাতে ঝুপো মায়ের দু’বার পুজো হয়।