স্টেট ব্যাঙ্কে স্বেচ্ছাবসর, তৈরি খসড়া
চলতি বছর শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের স্বেচ্ছাবসর (ভিআরএস) দিয়ে। আর শেষ হতে চলেছে স্টেট ব্যাঙ্কের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পের হাত ধরে। লক্ষ্য একই, খরচ কমানো।
সূত্রের খবর, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩০,০০০ কর্মীকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকারি ব্যাঙ্কটি। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে এ সংক্রান্ত প্রকল্পের (সেকেন্ড ইনিংস ট্যাপ ভিআরএস-২০২০) খসড়া। এই মুহূর্তে যেটি ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে এ ভাবে ভিআরএস দিয়ে লোক কমানোর এই পরিকল্পনাটির তীব্র বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন কর্মী সংগঠন। অনেকেরই বক্তব্য, করোনার জেরে অনিশ্চয়তা যখন জীবনযাপনকে আরও কঠিন করে তুলেছে, তখন ভিআরএস প্রকল্পের ঘোষণা কর্মীদের আরও চাপে ফেলবে। করোনার ধাক্কায় কর্মী ছাঁটাই করছে একের পর এক সংস্থা। বেকারত্ব বাড়ায় রাতের ঘুম উড়েছে তরুণ প্রজন্মের। খোদ মোদী সরকার খরচ কমাতে যেখানে একেবারে নিয়োগ না-করলেই নয়, সেগুলি বাদে সব মন্ত্রক, দফতর, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও সংস্থাকে নতুন পদ তৈরি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠন ন্যাশনাল অর্গানাইজ়েশন অব ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট অশ্বনি রানার দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনিতেই মানুষের রুজি-রোজগার নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে। তার মধ্যে স্বেচ্ছাবসরের সিদ্ধান্ত স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কর্মী বিরোধী মনোভাবেরই পরিচয় দেয়।
স্টেট ব্যাঙ্কে গত বছর ২.৫৭ লক্ষ কর্মী ছিলেন। এ বছর মার্চে তা কমে হয় ২.৪৯ লক্ষ। পরিকল্পনা অনুসারে, যে সমস্ত কর্মী-অফিসারেরা ২৫ বছরের বেশি কাজ করেছেন অথবা যাঁদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি, শর্তসাপেক্ষে তাঁরা এই প্রকল্পের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সব মিলিয়ে সেই সংখ্যা ৩০,১৯০। যাঁর যত বছর চাকরি রয়েছে, তিনি এক্স-গ্রাশিয়া হিসেবে তত দিনের ৫০% বেতন পাবেন। তবে মোট অঙ্ক ভিআরএসের সময়ের বেতনের ১৮ মাসের বেশি হবে না। ওই কর্মী-অফিসারদের এক তৃতীয়াংশ ভিআরএস নিলে প্রায় ১৬৬৩ কোটি টাকা বাঁচাতে পারবে ব্যাঙ্কটি।
২০১৭ সালে স্টেট ব্যাঙ্কে মেশার আগে তাদের পাঁচটি শাখা কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর দিয়েছিল। তারও আগে ২০০১ সালে একই পথে হেঁটেছিল স্টেট ব্যাঙ্ক।