মা কালীর পুজো উপলক্ষ্যে সাজো সাজো রব তারাপীঠে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মা কালীর পুজো উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে তারাপীঠ মন্দির চত্বর। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে বেজে ৭মিনিটে অমাবস্যা তিথি পড়বে। পরের দিন সন্ধ্যা ৫টা ৮মিনিট পর্যন্ত তিথি থাকবে। বুধবার রাত থেকে ব্যাপক ভক্ত সমাগমের আশা করা হচ্ছে। বেশি রাত পর্যন্ত মন্দির খুলে রাখা হবে।
তারাপীঠে তারা মা ছাড়া অন্য কোনও দেবীর মৃন্ময়ী মূর্তি পুজো না করার প্রথা মেনে আসছেন তীর্থভূমির বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, তারা মায়ের মধ্যেই সব দেবী বিদ্যমান। সকল দেবীকে তারা মায়ের সঙ্গে অভেদ কল্পনায় পুজো করা হয়। যুগ যুগ ধরে কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, সরস্বতী সকল দেবীর আরাধনা হয় তারামূর্তিতে। প্রথা মেনে, শ্বেত শিমূলতলা, পঞ্চমুণ্ডির আসন, বশিষ্ট ও বামদেবের সিদ্ধিলাভের জায়গা ও মায়ের পাদপদ্মে প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করবেন সেবাইত বাড়ির মহিলারা। মা তারার স্মৃতি বিজড়িত জীবিতকুণ্ডে প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাসিয়ে দেওয়ার চল রয়েছে। নিশিরাতে মাকে নানা ফুলের মালার পাশাপাশি কয়েক ভরি স্বর্ণালঙ্কারে সাজিয়ে তোলা হবে। গর্ভগৃহে একদিকে চলবে চণ্ডীপাঠ, অন্যদিকে চলবে তারা অঙ্গে দেবী কালীর আরাধনা। এদিন মায়ের দু’বার অন্নভোগ হয়।
সকালে স্নানের পর হবে মঙ্গলারতি ও পরে দুপুরে মাকে ভোগ নিবেদন করা হবে। নিশিরাতে দেবী তারাকে কালীরূপে পুজো করা হবে। সাজানো হবে ডাকের সাজে। পুজো চলাকালীন ফের মায়ের আরতি ও বিশেষ অন্নভোগ দেওয়া হয়। ভোগে থাকবে খিচুড়ি, কারণবারি, বলির পাঁঠার মাংস, মাছ, পাঁচরকম ভাজা, টক, পায়েস ও মিষ্টি।
প্রাচীন রীতি অনুযায়ী, সন্ধ্যারতির পর গর্ভগৃহের সামনে নাটমন্দিরে বসে দেবীকে গান শোনানোর চল রয়েছে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মন্দিরের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও থাকবে তারাপীঠ থানার পুলিশ। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।