ম্যালওয়ারের মাধ্যমে ফোনের দখল নিয়ে বিমানযাত্রীদের সর্বস্বান্ত করছে সাইবার প্রতারকরা, সতর্কতা জারি বিমানবন্দরে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিমান যাত্রীদের ‘লাউঞ্জ অ্যাকেসেস’এর লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে প্রতারকরা ডাউনলোড করাচ্ছে ভুয়ো অ্যাপ। ওই অ্যাপে থাকা ম্যালওয়ারের মাধ্যমে ফোনের দখল নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিমানযাত্রীকে সর্বস্বান্ত করছে সাইবার প্রতারকরা। নয়া এই সাইবার জালিয়াতি চিন্তায় ফেলেছে গোয়েন্দাদের। কলকাতা সহ দেশের ১০টি বড় বিমানবন্দরে এহেন প্রতারণার ফাঁদ নজরে আসার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের তরফে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে দিন পনেরো আগে। দেখা যায় বেঙ্গালুরু, দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে লাউঞ্জ অ্যাকসেস অ্যাপ ডাউনলোড করার পর বিপুল পরিমাণ টাকা খুইয়েছেন বেশ কয়েকজন বিমানযাত্রী। সেই অর্থের পরিমাণ কয়েক কাটি টাকা। বিমানবন্দরের ভিতরেই তাঁদের কেউ এই অ্যাপ ডাউনলোড করার প্রস্তাব দিয়েছে। গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, ঘটনার পিছনে রয়েছে সাইবার জালিয়াতরা। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে কীভাবে জালিয়াতরা বিমানবন্দরে ঢুকল, সেটাই চিন্তা বাড়ায় তাঁদের। একই কায়দায় বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটায় গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গোটা কাজটি করা হচ্ছে।
গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে জেনেছেন, জালিয়াতরা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করছে কারা অনেকক্ষণ ধরে বিমানবন্দরে বসে রয়েছেন। কথা প্রসঙ্গে জেনে নিচ্ছে কানেকটিং ফ্লাইটের সময় কখন। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তারা লাউঞ্জ অ্যাকসেসের অ্যাপ ডাউনলোড করার পরমার্শ দিচ্ছে। কেউ এই কাজটি করলেই তার মোবাইলে ম্যালওয়ার ঢুকছে। সেই সুযোগে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নিচ্ছে জালিয়াতরা। সমস্ত বিমানবন্দরেই একই কায়দায় এহেন প্রতারণা হয়েছে। আধিকারিকরা জেনেছেন, বিমানবন্দরের ভিতরের বহু কাজই এখনও আউটসোর্স হয়ে গিয়েছে। ঠিকাদার সংস্থার হয়ে কাজ করছে বাইরের লোকজন। তাঁদের ঢোকা-বেরোনোর পাস দেওয়া হয়েছে। বরাতপ্রাপ্ত কোম্পানিতে নিয়ম মেনে চাকরিতে ঢুকছে সাইবার জালিয়াতরা। কিন্তু তারা যে এই কাজে জড়িত, জানতেই পারছেন না কেউ। সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে সাইবার জালিয়াত রয়েছে,বিষয়টি উদ্বেগের হয়ে দাঁড়িয়েছে গোয়েন্দা আধিকারিকদের কাছে। কাজের ধরন দেখে তাঁদের সন্দেহ, হরিয়ানার মেওয়াট গ্যাংয়ের সদস্যরাই রয়েছে চক্রে।