এখানে কালী পুজোয় এখনও হয় মহিষ বলি, রথে করে বিসর্জনে যান দেবী

হরিপালের ইলিপুরে কামারবাড়ির কালী খুব জাগ্রত। তাঁকে ঘিরে গায়ে কাঁটা দেওয়া বহু অলৌকিক ঘটনা। পুজো প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন। এখানে প্রতিমা নীল রঙের

October 30, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হরিপালের ইলিপুরে কামারবাড়ির কালী খুব জাগ্রত। তাঁকে ঘিরে গায়ে কাঁটা দেওয়া বহু অলৌকিক ঘটনা। পুজো প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন। এখানে প্রতিমা নীল রঙের। দক্ষিণাকালী। পুজোয় অংশগ্রহণ করে পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। দেবীর কাছে এলে মনস্কামনা পূরণ হয় সকলের।

তারপর পুজোর দিন ধুমধাম করে পুজো দেওয়ার রীতি। প্রায় ১০০ বছর আগে টাকা পয়সার টানাটানির জন্য ঘট স্থাপন করে পুজো হয়েছিল। পরবর্তীকালে গোবর্ধন কর্মকার নামে একজন উদ্যোগ নিয়ে মূর্তি তৈরি করে পুজো করেন।

এক সময় মূর্তি হতো শিল্পীর বাড়িতেই। আর প্রায় প্রতিবছরই মূর্তি মন্দিরে আনার সময় বিভিন্ন রকমের বিপত্তি ঘটত। সকলের অনুমান, পুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সম্ভবত মূর্তি তৈরি হতো মন্দিরের অন্দরে। সে প্রথা পরিবর্তনে দেবী রুষ্ট হন। ফলে মূর্তি আনতে সমস্যায় পড়তে হতো। তারপর সিদ্ধান্ত হয়, মন্দিরেই তৈরি হবে মূর্তি।

পুজোর আগের দিন দেবী বেদীতে ওঠেন। তারপর সকাল থেকে শুরু চণ্ডীপাঠ। পুজোর সূচনা হয়। চার প্রহর ধরে চলে পুজো। শুরুর সময় থেকে সুতো কাটা পর্যন্ত এক আসনে বসে পুজো করেন ব্রাহ্মণ। প্রতি প্রহরে হয় বলিদান। শতাধিক ছাগ, আখ, ছাঁচি কুমড়ো ও সবশেষে মহিষ বলি হয়। এরপর চলে প্রসাদ ও বস্ত্র বিতরণ। একসময় দেবীকে কাঁধে চাপিয়ে বিসর্জনে নিয়ে যাওয়া হতো। বর্তমানে কর্মকার পরিবারের তৈরি রথে বিসর্জনে নিয়ে যাওয়া হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন