গাজোল হাটে কালী পুজোর রাতে হাজারের বেশি ছাগ বলি দেওয়া হয়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মালদহের গাজোল হাটের আদি শ্যামা কালীর পুজো প্রায় ২২৯ বছর আগে ধুমধাম করে শুরু করেন তৎকালীন জমিদার প্রয়াত দুর্লভ রাম নন্দী চৌধুরী। সেই ঐতিহ্য আজও রয়েছে। বংশ পরম্পরায় ওই শ্যামা কালীর পুজোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ঢাকি, মৃৎশিল্পী, সেবায়েতরা। যাঁরা বলি দেন, তাঁরাও বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে আসছেন।
নিয়ম মেনে নিরামিষ আহার ভোজন করে লক্ষ্মী পুজোর পর থেকে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করেছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পী। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী, অমাবস্যার লগ্নের পরেই মায়ের চক্ষুদান, রঙ সহ গয়না পরানো হবে। এছাড়াও ঐতিহ্য মেনে শ্যামা মা মন্দিরে প্রবেশ করেন ভক্তদের কাঁধে চড়ে। তারপর মধ্য রাতে তন্ত্রমতে পুজো হয়।
পুজোতে অন্নভোগ দেওয়ার নিয়ম নেই। ফল,লুচি দিয়ে মায়ের সেবা দেওয়া হয়। তবে পুজো মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় পাঁঠা বলি দিতে ভক্তরা আসেন। পুজোর রাতে হাজারের বেশি ছাগ বলি দেওয়া হয়। অমাবস্যা শেষ হলে কালীদিঘিতে শ্যামা মাকে নিরঞ্জন করা হয়।