বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা দীপাবলির সময়ে উত্তরবঙ্গে বন্যপ্রাণী নিধনে হানা দিতে পারে, তল্লাশি অভিযানে বনদপ্তর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গোরুমারা ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশনের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেনের নেতৃত্বে বুধবার সকাল থেকে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। দীপাবলির মধ্যেই উত্তরবঙ্গে বন্যপ্রাণী নিধনে হানা দিতে পারে উত্তর-পূর্ব ভারতের চোরাশিকারীরা। গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর পাওয়ার পর শুরু হয়েছে এই তল্লাশি অভিযান।
এদিন সকালে নাগরাকাটা রেল স্টেশন, ট্যাক্সি স্ট্যান্ড এলাকায় ট্র্যাকারদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে বন্যপ্রাণী শিকারের বিরুদ্ধে সচেতনতাও তৈরির চেষ্টা করা হয়। এরপর নাগরাকাটার সুখানি বস্তি, হাজিডাঙা, বামনডাঙা হয়ে বিকেলে গোরুমারার রামসাই এলাকায় অভিযান চালানো হবে, বলে জানা গিয়েছে। ওই এলাকাটি গন্ডারের আবাসভূমি বলে পরিচিত। ফলে সেখানে অভিযানে বিশেষ জোর দিচ্ছে বনদপ্তর। জঙ্গলের মধ্যে বন্যপ্রাণীদের গতিবিধি খতিয়ে দেখতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। জঙ্গলের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বনকর্মীরা কুনকির পিঠে চেপে বা হেঁটে পৌঁছতে পারছেন না, সেখানে ওই ড্রোনের সাহায্যে ছবি তোলা হচ্ছে। তারপর সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে ডিএফও বলেন, জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযানে ব্যবহার করা হচ্ছে শক্তিশালী ড্রোন ও মিনি ড্রোন ক্যামেরা। বনদপ্তর সূত্রে খবর, অসমের দলগাঁও এলাকায় গন্ডার হত্যার অভিযোগে একটি বড় গ্যাংকে গ্রেপ্তার করেছে সে রাজ্যের বনদপ্তর ও পুলিসের যৌথ টিম। তাদের কাছ থেকে প্রচুর অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, দীপাবলির আমেজের মধ্যেই উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে গোরুমারা ও জলদাপাড়ায় চোরাশিকারীদের একটি টিম বন্যপ্রাণী নিধনের অপারেশন চালানোর ছক কষেছে।
বনদপ্তরের স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্রেও এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। এরপরই তড়িঘড়ি জঙ্গলে তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়েছে বনদপ্তর। মূলত লং রেঞ্জ পেট্রলিং এর পাশাপাশি কর্ডন অ্যান্ড সার্চ, সার্ভেলেন্স এবং সেন্সিটাইজেশন চালানো হচ্ছে দপ্তরের তরফে। ডিএফও বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে গন্ডার শিকারীদের দলে যে শ্যুটার থাকে তারা উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য। এরা মূলত স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়েই বন্যপ্রাণ নিধনের অপারেশন চালায়।