ট্রাম্পের জন্য ভোট চাইলেন লাদেনের ভাইঝি
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য ভোট চাইলেন মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দার প্রাক্তন প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ভাইঝি নুর বিন লাদেন।
সংবাদমাধ্যমে এই প্রথম কোনও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেখানে দাবি করেছেন, একমাত্র ট্রাম্পই পারেন ৯/১১-র মতো কোনও হামলা ঠেকাতে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন এই ধরনের হামলা ঠেকানোর পক্ষে উপযুক্ত নন। তাঁর হুঁশিয়ারি, “মৌলবাদী ইসলাম আমাদের সমাজে অনুপ্রবেশ করেছে। এটি দুঃখজনক যে, আমেরিকার বামপন্থীরাও এই মতবাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছে।” সুইজারল্যান্ডে বসবাস করলেও ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা জানানোর পর থেকেই ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে আসছেন নুর বিন লাদেন (৩৩)। নুরের মা সুইস লেখক কারমেন ডুফুর, বাবা ওসামার সৎ ভাই ইয়েসলাম বিন লাদেন।
১৯৮৮ সালে নুরের মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ৯/১১ হামলার পর ২০০৪ সালে লাদেন পরিবার নিয়ে বই লিখে ব্যাপক খ্যাতি পান নুরের মা কারমেন। যদিও কুখ্যাত কাকার থেকে দূরত্ব রাখতে পদবির বানান অন্য রকম লেখেন নুর। তাঁর কটাক্ষ, “ওবামা-বিডেনের জমানায় ইসলামিক স্টেট ছড়িয়ে পড়েছিল। তার পর ইউরোপে প্রভাব বিস্তার করে তারা। কিন্তু ট্রাম্প দেখিয়েছেন তিনি আমেরিকাকে, আমাদের রক্ষা করতে সক্ষম। পুরো পশ্চিমী সভ্যতা রক্ষার জন্যও আবার ট্রাম্পকে নির্বাচিত করা উচিত। তিন বছর বয়স থেকে বছরে অনেকবার আমেরিকা গিয়েছি।” আমেরিকার বাইরে বাস করলেও নিজেকে তিনি মার্কিন বলেই মনে করেন, জানান নুর।
উল্লেখ্য, ৯/১১-এর পর যখন বিশ্বের সর্বত্র তন্নতন্ন করে আল-কায়দা প্রধানের খোঁজ করছিল আমেরিকা, তখন পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে নিশ্চিন্তে জীবন কাটাচ্ছিল এই জঙ্গি নেতা৷ গুণাক্ষরেও কাউকে বুঝতে দেয়নি নিজের উপস্থিতি৷ কিন্তু কথাতেই রয়েছে, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’৷ তেমনই জঙ্গি লাদেনের গন্ধ পেয়েছিলেন চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদি৷ সেই খবর তিনি পৌঁছে দিয়েছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র কাছে৷ ব্যস এইটুকুই! তারপরের ঘটনা কারও অজানা নয়৷ ২০১১-র ২ মে লাদেনকে খতম করে ইউএস নেভি সিল৷