দিল্লিতে চলতি বছর ছিল উষ্ণতম অক্টোবর – এই শীতে লা নিনার প্রভাবে কি আদৌ কাঁপবে বাংলা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লা নিনার প্রভাবে নাকি এবছর জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে চলেছে গোটা বিশ্বে! এই দক্ষিণী উষ্ণ বায়ু চলাচল চক্রের শীতল পর্যায়, যা এক প্রাকৃতিক গ্লোবাল জলবায়ু প্যাটার্ন যা প্রশান্ত মহাসাগরে বায়ু এবং সমুদ্রের তাপমাত্রায় পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত, পৃথিবীজুড়ে চরম আবহাওয়া সৃষ্টি করতে পারে বলে পূর্বাভাস আছে। তবে কি এর প্রভাবেই কার্তিক মাসের অর্ধেক পার হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে রাজ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমার ইঙ্গিত দিল আবহাওয়া দপ্তর। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন, বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে মৃদু্ উত্তর-পশ্চিমী হাওয়া এবার ঢুকতে শুরু করবে। তবে এখনই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নামবে, এমন সম্ভাবনা কম।
গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে মেঘ জমছিল। কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টিও হয়েছে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা বিশেষ নেই। শুধু উপকূলবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির কোথাও কোথাও ৫-৬ নভেম্বর হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি উচ্চ চাপ বলয়ের জন্য বায়ুমণ্ডলে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প ঢুকে মেঘ সৃষ্টি করছিল। ওই বলয়টি সরে গিয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ এবার কমবে। তাপমাত্রা ও জলীয় বাষ্প দু’টি কমলে যে ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তি এখনও আছে, তা কমবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কিছুটা নিম্নগামী হবে। তবে এখনই কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা কম। আপাতত বঙ্গোপসাগরে কোনও নিম্নচাপের প্রভাব রাজ্যে পড়ার সম্ভাবনা নেই। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপটি তৈরি হবে, সেটি দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু-অন্ধ্র উপকূলের দিকে যাবে বলে আবহাওয়া দপ্তর প্রাথমিকভাবে মনে করছে।
এদিকে শীত তো দূর অস্ত, দিল্লিতে চলতি বছর এটাই ছিল উষ্ণতম অক্টোবর মাস। রাজধানীতে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ২৬.৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।