জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে বেনজির নিরাপত্তা চন্দননগরে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জগদ্ধাত্রী পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। হাতে বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। সেজে উঠছে আলোর খেলায় আর উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে চন্দননগর। রাজ্য থেকে দেশ তথা আন্তর্জাতিক স্তরেও আলোর শহর হিসেবে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে চন্দননগরের। একইসঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজোর কারণেও বিশেষ ভাবে বিখ্যাত এই শহর।
এ রাজ্যে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সুচনা করেছিলেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। কিন্তু বিগত বছর গুলোতে ধারে ভারে কৃষ্ণনগরকে পিছনে ফেলে বেশ অনেকটাই এগিয়ে এসেছে চন্দননগর। বিখ্যাত চন্দননগরের কুড়ি থেকে পঁচিশ কোথাও ত্রিশ ফুটের প্রতিমা, সঙ্গে মানানসই চালচিত্র ও ডাকের সাজ। অপূর্ব সাজে সজ্জিত মণ্ডপ আর বিখ্যাত আলোক শিল্পীদের তৈরি নানা আলোর কারসাজি। সম্প্রতি চন্দননগরের বেশ কিছু পুজতে দেখা গেছে থিমের মণ্ডপের রেওয়াজ।
জগদ্ধাত্রীপুজোকে কেন্দ্র করে বেনজির নিরাপত্তা বলয় তৈরির পরিকল্পনা চন্দননগর কমিশনারেটের। ইতিমধ্যেই একাধিকবার পুজো সংক্রান্ত বৈঠকে বসেন পুলিস আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতের তুলনায় বেশি সংখ্যক পুলিস এবার পুজোয় মোতায়েন থাকবে। এই জেলার পাশাপাশি, ভিন জেলা থেকেও আনা হবে পুলিসকর্মী ও আধিকারিক। এছাড়া চন্দননগর ও সংলগ্ন রেলস্টেশনগুলিতে আরপিএফ এবং জিআরপির সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে। বহু মানুষ রেলপথে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে চন্দননগরে আসেন। সে কারণেই এই পরিকল্পনা। রেলকর্তাদের সঙ্গে কমিশনারেটের তরফে এ সংক্রান্ত বৈঠকও হয়েছে।
চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, ‘আমরা একাধিকস্তরে বৈঠক করেছি। পুজোয় অতিরিক্ত বাহিনী পাব। নিরাপত্তার সবরকমের ব্যবস্থা হয়েছে। রেলকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্টেশনগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। ফেরিঘাট যাতায়াতের রাস্তাতেও থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা। পুজো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’ চন্দননগর কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, ‘পুলিস কর্তাদের সঙ্গে আমাদের দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। আমরা সর্বোতভাবে সাহায্য করছি। পুলিস জানিয়েছে, এবার নিরাপত্তার বিপুল আয়োজন করা হয়েছে। চন্দননগরের পুজোর সুনাম বজায় রাখার জন্য আমরা সবরকম সহযোগিতা করব।’
২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকাভুক্ত পুজোর সংখ্যা ১৭৭। ১৩৩টি চন্দননগরে ও ৩৪ পুজো ভদ্রেশ্বর পুরসভার মধ্যে পড়ে। এছাড়াও পারিবারিক পুজো সহ বেশ কিছু পুজো ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগরে হয়। হুগলি তো বটেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এ সময় সাবেক ফরাসি কলোনিতে আসেন। সময়ের সঙ্গে ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে সে ভিড় দিনের পর দিন লাফিয়ে বাড়ছে। এবছর পুজো শুরু হচ্ছে সাত নভেম্বর।