নতুন কোম্পানিতে নামই নেই ইস্টবেঙ্গলের, এবারও কি জট কাটাবে রাজ্য সরকার?
চলতি বছর আইএসএলে খেলা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। নয়া দল নেওয়ার জন্য FSDL যে বিড ওপেন করেছে, সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলতে কোম্পানিও গঠন করে ফেলেছে লাল-হলুদ ক্লাব। কিন্তু খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই সেই কোম্পানিতে নামই নেই ইস্টবেঙ্গলের। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ফুটবল মহলের একাংশের ধারণা জট কাটাতে হয়তো রাজ্য প্রশাসনকেই ফের ময়দানে নামতে হবে।
জানা গিয়েছে, ‘শ্রী সিমেন্ট ফাউন্ডেশন’ নামে গঠিত হয়েছে নয়া কোম্পানি। এমনকী কোম্পানির ঠিকানায় উল্লেখ রয়েছে আজমেরের নাম। অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গল এবং কলকাতা একেবারে উধাও! সেই কোম্পানিই বিড পেপার তুলছে। ‘সমস্যা’র এখানেই শেষ নয়। যা খবর, শ্রী সিমেন্ট ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর নিয়োগ নিয়েও লাল-হলুদ কর্তাদের সঙ্গে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে কোম্পানির। শোনা যাচ্ছে, সঞ্জীব মেহতা এবং প্রকাশ রঞ্জন ছাঙ্গানিকে ডিরেক্টরের পদের জন্য বাছা হয়েছে। ক্লাব কর্তাদের প্রশ্ন, তাহলে বোর্ড অফ ডিরেক্টরে লাল-হলুদের তরফে কাকে রাখা হবে? আপাতত দেবব্রত সরকার ও সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ডিরেক্টরের পদের জন্য পাঠানো হয়েছে। ক্লাবের সচিব কিংবা সভাপতিকে বাদ দিয়ে কার্যকরী কমিটির সাধারণ সদস্যদের নাম পাঠানোয় জটিলতা আরও বেড়েছে। বিষয়টি একেবারেই নাকি মনে ধরেনি নতুন কোম্পানির। তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে অন্য নাম। অথচ এই জট দ্রুত না কাটলেও সমস্যা।
এর পাশাপাশি আবার কোম্পানির লাইসেন্স পাওয়া নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, রাজ্য প্রশাসনই হয়তো সব সমস্যা মেটাতে সক্রিয় হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে যেমন এবার আইএসএলে খেলার পথ প্রশস্থ করে হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের, সেভাবেই কি ক্লাবের অভ্যন্তরীণ জট ছাড়াতেও তৎপর হবে সরকার? সেটাই এখন দেখার।
এদিকে, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ই-মেল মারফত বিডের কাগজ FSDL-কে জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে ফর্মের হার্ডকপি ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরাসরি পাঠিয়ে দিতে হবে FSDL-এর কাছে। সব পেপার খতিয়ে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে আইএসএল কর্তৃপক্ষ।