অমঙ্গলের দুর্ভাবনায় ভক্তরা, কী এমন হল শ্রীক্ষেত্র পুরীতে?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রাচীরে ফাটল! মেঘনাদ পাচেরি—পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বিশাল সীমানা প্রাচীরের ফাটল দিয়ে মহাপ্রসাদের বাজার, আনন্দ বাজারে জল প্রবেশ করছে। মন্দিরের বিভিন্ন অংশের দেওয়ালে শ্যাওলার স্তর জমছে। দ্বাদশ শতকে তৈরি মন্দিরের কাঠামোর ভিতরে জল ঢুকছে। যা ঘিরে তোলপাড় ওড়িশা তথা গোটা দেশ। মন্দিরের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভক্তদের মনে প্রশ্ন, ফাটল অমঙ্গলের ইঙ্গিত নয়তো! তড়িঘড়ি ফাটল মেরামতিতে উদ্যোগী হয়েছে ওড়িশা সরকার। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সাহায্য চেয়েছে ওড়িশা সরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জগন্নাথ মন্দিরের দেওয়াল কমজোরি হয়ে জল শোষণ করতে শুরু করেছে। যার জেরে বেড়ে চলেছে শ্যাওলার স্তর। এতে মন্দিরের কাঠামোর আরও ক্ষতি হতে পারে। চিন্তায় ফেলেছে মেঘনাদ পাচেরির ফাটল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মন্দিরকে রক্ষা করে আসছে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৬৫০ ফুট এবং উত্তর দক্ষিণে ৬৪৪ ফুট বিস্তৃত প্রাচীর। তাতে ফাটল দেখা দেওয়ায় মন্দিরের সুরক্ষাই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ফাটল ও শ্যাওলার জেরে ভেঙে পড়তে পারে মেঘনাদ পাচেরি।
ফাটল ও শ্যাওলা নজরে আসতেই সরকারকে জানায় মন্দির কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের পক্ষ থেকে এএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে এএসআই। মন্দিরের ক্ষয়ক্ষতি রোখা নিয়ে শীঘ্রই আলোচনায় বসবে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও ওড়িশা সরকার। মন্দিরের স্বাস্থ্যের বিশদ মূল্যায়ন ও মেরামতির দাবি উঠছে। পুরীর মন্দিরের প্রশাসন রাজ্যের আইন দপ্তরের অধীন। সোমবার ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেন, ফাটলের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি মেরামতের কাজ শুরু করতে চলেছে এএসআই। তিনি আরও বলেন, ফাটলের কারণ অনুসন্ধানের পর সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।