জয় নয়, মেদিনীপুরে হারের মার্জিন কমানোই লক্ষ্য গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত BJP-র?

বঙ্গ বিজেপির সবচেয়ে বড় কাঁটা গোষ্ঠী কোন্দল।

November 5, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বঙ্গ বিজেপির সবচেয়ে বড় কাঁটা গোষ্ঠী কোন্দল। উপনির্বাচনেও তা পিছু ছাড়ছে না। মেদিনীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে দলের একটা গোষ্ঠী হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। এখন হারের ব্যবধান কমানো একমাত্র লক্ষ্য বিজেপির। অনেক বিজেপি নেতাই পরিচিতবৃত্তে বলছেন, জয়ের কোনও আশাই তাঁরা দেখছেন না। দলের একটা অংশ এখনও ভোটের ময়দানেই নামেনি।

২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে জয়ের মার্জিন বাড়াতে চাইছে তৃণমূল। প্রতিটি বুথে বিশেষ অবজারভার নিয়োগ করেছে শাসকদল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা উপনির্বাচনের প্রার্থী সুজয় হাজরা বলেন, গোষ্ঠী কোন্দলই বিজেপির পরিচিতি। তৃণমূলের পরিচিতি এলাকার উন্নয়ন করে। মানুষের সামনে প্রচারে গিয়ে সেই কথা তুলে ধরা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। কোনও বিজেপি নেতাকর্মী বলতে পারবেন না, শেষ দশ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার এই বাংলার মানুষের জন্য কী কাজ করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে জেলাজুড়ে বিজেপির প্রভাব বাড়তে থাকে। উনিশের লোকসভা ভোটে দিলীপের নেতৃত্বে গেরুয়া শিবির জয়ী হয়। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ জয়ী হন। একুশের বিধানসভা ভোটের সময় থেকে দিলীপের রাশ টানতে শুরু করে দল। তৃণমূল থেকে আসা তৎকাল বিজেপি নেতাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। একুশের নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকে দিলীপের প্রভাব কমাতে আরও রাশ টেনে ধরে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। গত লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর আসন থেকে দিলীপকে টিকিটও দেয়নি দল। যা জেলা বিজেপির একাংশ ভালো চোখে দেখেনি। উপনির্বাচনেও তৃণমূল থেকে আগত এক তৎকাল বিজেপি নেতার লবি থেকে টিকিট পেয়েছেন শুভজিৎ রায় ওরফে বান্টি। ক্ষোভে ফুঁসছেন দিলীপ গোষ্ঠীর নেতারা। দিলীপের প্রাধান্য কমে যাওয়ায় দিলীপ গোষ্ঠীর অনেকে প্রচারে নেই।

প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিজেপির একাংশ ক্ষুব্ধ। বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য, প্রার্থী বাছাইয়ের সময়ে দলের একাংশের মতামত নেওয়া হয়নি। ভোটে দিলীপের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো উচিত ছিল। দলের একাংশ বসে যাওয়ায় প্রচারে ঝাঁঝ নেই। রাজ্য নেতৃত্বও উদাসীন। সমস্যার সমাধানে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। দলের অন্দরে আলোচনা হচ্ছে প্রার্থী কত ভোটে হারবে। কেউ বলছেন ৫০ হাজার, আবার কেউ বলছেন, ২০ হাজার। হার কার্যত নিশ্চিত মানছেন জেলার পুরনো বিজেপি কর্মীরাও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen