হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিন শেয়ারিংয়ের আড়ালে ওৎ পেতে আছে প্রতারকরা, সতর্ক না হলেই বিপদ!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের সময়ে স্ক্রিন শেয়ারিং অপশন অন করলেই ফোনের অপরপ্রান্তে মানুষের কাছে ফোনের নিয়ন্ত্রণ চলে যায়। এই অবস্থায় বহু প্রতারকই শিকারদের কথার জালে ফাঁসিয়ে তা করিয়ে নিচ্ছে। সাম্প্রতিককালে একাধিক মামলায় বিষয়টি পুলিসের নজরে এসেছে। পুলিসের দাবি, অপরিচিতদের সাথে ভিডিও কলের স্ক্রিন শেয়ার করা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এসিপি বিশ্বজিৎ নস্কর বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা নতুন ফিচারস আসছে। আমাদের তা সচেতনভাবে ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখবেন সাইবার প্রতারকরাও নতুন নতুন ভাবে আপনাকে প্রতারণার জালে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার রাতেই আসানসোল সাইবার থানার পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে একটি বড় সাইবার প্রতারণা চক্র। ক্রেডিট কার্ডের অফার টোপ দিয়ে দেশজুড়ে প্রতারণা করত এই চক্র। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা হলেও তারা হীরাপুর থানার রহমতনগরে ঘর ভাড়া নিয়ে নিজেদের অপরাধের ঘাঁটি বানিয়েছিল। এই ঘটনার তদন্তে নেমেও পুলিস হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের স্ক্রিন শেয়ারিংয়ের বিষয়টি নজরে পড়েছে।
এই ঘটনার তদন্তে যুক্ত এক অফিসার জানিয়েছেন, মূল প্রতারণার ঘটনাটিই ঘটত হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের স্ক্রিন শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে ফেসবুক পেজে দেওয়া ক্রেডিট কার্ডের অফারে টোপ গিললেই তাদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করত প্রতারকরা। ফোন কল ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে প্রতারিত হতে চলা মানুষকে নিজেদের আয়ত্তে এনে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করতে বলা হতো। এবার হোয়াটসঅ্যাপ কলে কথাবার্তা বলার পাশাপাশি তাঁকে স্ক্রিন শেয়ার করার প্রস্তাব দেওয়া হতো। তা করা মাত্রই ফোনে আসা ওটিপি সহ বিস্তারিত তথ্য প্রতাকরদের হাতে চলে আসত। তার মাধ্যমে সহজেই টাকা লুট করা হত।
পুলিস সতর্ক করে জানিয়েছে, বিভিন্ন ভাবে সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ কল করিয়েও এই স্ক্রিন শেয়ারিং করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যা করলেও ফোনের বিস্তারিত তথ্য সাইবার চাঁইদের হাতে চলে যাচ্ছে। তারপর আপনি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লেনদেনের জন্য আসা ওটিপি প্রতারকদের না বললেও তারা নিজেরাই জেনে যাবে ওটিপি।