শিশুমনে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়ের বোধ বুনে দিত প্রাথমিকে ফিরছে ‘বর্ণপরিচয়’

প্রথম শ্রেণিতে বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’-এর অংশবিশেষ রেখেই জমা পড়েছে কলা ও কর্মশিক্ষার প্রাথমিক স্তরের খসড়া বই।

November 6, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একটা সময় বাঙালির অক্ষর-শিক্ষার সূচনাপর্বে বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’ শিশুমনে বুনে দিত ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়ের প্রাথমিক বোধ। গোপালের মতো সুবোধ হয়ে ওঠা বা ভুবনের মাসির গল্পের মাধ্যমে চুরি না করার নীতিশিক্ষা মিলত তখনই। সেই পাঠ আবার ফিরে আসতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষায়। প্রথম শ্রেণিতে বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’-এর অংশবিশেষ রেখেই জমা পড়েছে কলা ও কর্মশিক্ষার প্রাথমিক স্তরের খসড়া বই।

সিলেবাস কমিটির তরফে সেই বই গিয়েছে শিক্ষাদপ্তরের কাছে। তাতে প্রথম শ্রেণিতে বর্ণপরিচয়ের প্রথম ভাগ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে দু’টি ভাগই রাখা হয়েছে বলে খবর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রথম শ্রেণির পড়ুয়াদের কথা ভেবে বর্ণপরিচয়ের পাঠ্যাংশ তাদের নিজেদের মতো করে পড়ার বা বলার সুযোগ থাকছে। সেক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরীয় শব্দ বা লিখনশৈলীর আঞ্চলিক এবং সরল বিকল্প ব্যবহার করা যাবে।

কেন বর্ণপরিচয় আনতে হল কলা এবং কর্মশিক্ষার মতো বিষয়ে? এর সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের বক্তব্য, রাজ্যের স্কুলস্তরে নীতিশিক্ষা বিষয়টি নেই। রাখাল বা গোপালের মতো চরিত্রগুলির সঙ্গে পড়ুয়ারা একাত্ম হয়ে নীতিশিক্ষা পাবে। তারা বুঝবে, চুরি করা, কুবাক্য বা কটু কথা বলা, ঝগড়া বা মারামারি খারাপ কাজ। তাছাড়া, এগুলি পড়লে তাদের রিডিং স্কিলও বাড়বে। এই বিষয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল রিসাইটেশন। সেই কথা ভেবেও ‘বর্ণপরিচয়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কিন্তু প্রথম শ্রেণির বাচ্চাদের পক্ষে বর্ণপরিচয় পাঠ একটু কঠিন হয়ে যাবে না? শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, একেবারে হুবহু উচ্চারণ করে না পারলেও চলবে। কিছু শব্দ সরল করে পড়া যাবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া বা এমন জেলা, যেখানে কথাবার্তায় আঞ্চলিক প্রভাব বেশি, সেখানকার শিশুরা স্থানীয় কথ্যভাষায়ও এটি পড়তে পারবে। পড়ে নিয়ে তা নিজের মতো করে নিজের ভাষাতে বলতেও পারবে ছাত্রছাত্রীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen