শুভেন্দুর বিধানসভা এলাকার BJP শাসিত পঞ্চায়েতে ৬৫ লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগ!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর এলাকায় চুরি! নন্দীগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত বিজেপি শাসিত এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ৬৫ লক্ষ টাকার চুরির ঘটনার অভিযোগ উঠল। ‘চোরমুখ পঞ্চায়েত গড়বো’, ‘চোরমুক্ত রাজ্য গড়বো’, ‘চোরমুক্ত পুরবোর্ড গড়বো’ ইত্যাদি দাবি করা বিরোধী দলনেতার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেরই গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এমন অভিযোগ সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জেলাস্তরের অডিট কমিটির রিপোর্টে ধরা পড়েছে চুরি। বিজেপি শাসিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আর সেই পঞ্চায়েতের এক্সেকিউটিভ অ্যাসিস্টেন্টের নাম জড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি শাসিত সামান্য এক গ্রাম পঞ্চায়েতে লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি ঠেকাতে পারেন না যে বিরোধী দলনেতা, তিনি কীভাবে রাজ্য চালানোর স্বপ্ন দেখেন?
২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া মহকুমার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রামপঞ্চায়েতে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১টি আসনের মধ্যে ১৭টিতেই জয়ী হন পদ্মশিবিরের প্রার্থীরা। ৪টি আসন পায় তৃণমূল। জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ভরকেন্দ্র ছিল এই গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। বাম আমল থেকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের আধিপত্য শুরু হয়। শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছাড়ার পর থেকেই বাম-বিজেপি এক হয়ে তৃণমূল নেতা, কর্মী, সমর্থকদের ওপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। যারা জমি আন্দোলনের বিরোধীতা করেছিল, তাঁরাই এখন গোকুলনগরে বিজেপির মুখ হয়ে উঠেছে। গোকুলনগরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল তাঁরা ‘চোরমুক্ত পঞ্চায়েত’ উপহার দেবেন। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোকুলনগরে বিজেপি জয়ী হয়ে বোর্ড গঠনের এক বছরের মধ্যেই ওঠে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ সামনে এল।
ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অডিট রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছে জমা পড়েছে। তাতে উঠে এসেছে, বিজেপি শাসিত গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৫০লক্ষ টাকা চুরি হয়েছে। অভিযোগ ছিল ৩৫ লক্ষ টাকা চুরির। সেই চুরি খুঁজতে গিয়ে আরও চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সব মিলিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা চুরির ঘটনা ধরা পড়েছে। যদিও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির বিক্ষুব্ধ জনপ্রতিনিধিদের দাবি, পঞ্চায়েতের তহবিলের টাকা তছরুপের ঘটনা ধরলে চুরি যাওয়া টাকার পরিমাণ ৬৫ লক্ষ টাকা।