লড়াই থেকে বহু দূরে BJP, নৈহাটি উপনির্বাচনে মার্জিন বাড়ানোই পাখির চোখ তৃণমূলের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উপনির্বাচন যে হতে চলেছে তা অন্তত বিজেপিকে দেখলে বোঝা যাচ্ছে না। নৈহাটির বিজেপি সমর্থক, নিচু তলার কর্মীদের বক্তব্য, উপনির্বাচনের ফলাফলে সরকার তো বদল হবে না। গত কয়েক বছর হাওয়ায় ভাসতে গিয়ে অনেককে অনেক কিছু খেসারত দিতে হয়েছে। বিজেপি নেতা কর্মীদের মুখে কেবলই হতাশার সুর। নৈহাটি বিধানসভা এলাকায় হিন্দিভাষী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২৮ শতাংশ।
২০২১ ও ২০২৪ সালের ভোটের ফলাফল দেখে তাঁরা ভেঙে পড়েছেন। এবার লড়াইয়ের শক্তি পাচ্ছে না।
ছাত্র জীবনে এসএফআই, পরে তৃণমূল হয়ে কয়েক বছর আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র।
পার্থ ভৌমিক ২০১১ সাল থেকে বিধায়ক। এবার তিনি সাংসদ হওয়ায় ওই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। ভোটের অঙ্কে এগিয়ে জোড়াফুল শিবির। গত বিধানসভা ভোটে এই আসনে পার্থ ভৌমিক প্রায় ১৮,৮৫৫ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। লোকসভা ভোটে নৈহাটিতে শাসক দলের লিড ছিল প্রায় ১৫,৫১৮ ভোট। গত দুই নির্বাচনের তুলনায় এবার গেরুয়া শিবিরের প্রচারের ঝাঁঝ কম। বহু কর্মী-সমর্থক এখনও রাস্তায় নামেনি। বিজেপি কর্মীরাও বলছেন, গোষ্ঠী রাজনীতির কারণে অর্জুন সিং এখনও ভোট ময়দানে ঝাঁপায়নি। বামেদের শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এক সময়কার নৈহাটিতে সিপিএম এবার প্রার্থীই দেয়নি। বামফ্রন্টের নাম বদলের দাবি তোলা সিআইএমএলকে সমর্থন করেছে সিপিএম। নৈহাটি শহরের সিপিএম নেতাদের কথায়, এবার তো নিজেদের প্রতীকে ভোটই দেওয়া যাবে না। শরিক দলের নতুন প্রতীক মানুষকে চেনাতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে নৈহাটি শহর তৃণমূল সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের (স্বাস্থ্য) সদস্য। এলাকায় ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে পরিচিত। এতদিন তিনি জোড়ফুল শিবিরের সেনাপতি হয়ে ভোট ময়দানে অবতীর্ণ হতেন। এবার প্রার্থী হয়ে তাঁর বক্তব্য, অভিভাবক পার্থদাই। দল সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে। বিরোধীদের দেখছি না। শুধু মার্জিন বাড়ানোর কথা ভাবছেন বলেও জানান।